হে নারী রুনা লায়লা

হে নারী
কোমল তোমার অন্তর
পবিত্র নিষ্পাপ তুমি ।
ভালোবেসে ছেলেটিকে আত্মা দিয়েছ
নোঙর যখন বেঁধেইছ : ঘর বাঁধো ।
“সঙ্গী প্রিয় অঙ্গ দোলে
খুশিতে উড়ে মন
 কুঁড়েঘরে হোক না বাসর
 থাকুক না ঘন বন “
 তুমিই দুনিয়ার স্রেষ্ঠতম সুখি রমণী
                                    হে নারী !
কি এমন জুলুম এলো ?
অন্য পুরুষকে বিয়ে করে
তাকে সঁপে দিলে দেহো !
বলতে পারো, কে অপবিত্র হলো !
আত্মা! না তোমার দেহো !
 এবার—
 তুমি তোমার শুদ্ধিকরন কি ভাবে করবে ;
                                            হে নারী!
তুমি যাকে আত্মা দিয়েছ
তাকে কি কখনো ভুলতে পারবে !
তুমি-যে খাঁচায় বন্দি হয়ে গেলে ;
শত চেষ্টা করলেও —
ওই শিখল ছিড়তে পারবে না
                       হে নারী  !
নিয়মের গতিতে মা হবে তুমি
সংসার, সন্তান চলবে নিয়ম মতোই
বাবা-মা, ভাই-বোন, সম্পর্কগুলো —
তোমার জীবন থেকে ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যাবে  ।
দায়িত্ব , কর্তব্য পালন করতে করতে
ক্ষয়ে যাবে তুমি
স্বামী, সন্তান —–
তোমায় যে মাথায় তুলে রাখবে
তা কক্ষনো ভেবো না
                হে নারী !
সমাজ —সমাজ–সমাজ ।
আচ্ছা , বলতে পারো
সমাজ তোমায় কি দিয়েছে  ?
হা—হা–হা—
সন্তান, স্বামী, আপনজন ;
এখনকার মানুষগুলো তো ডিজিটাল ;
সার্থ ছাড়া কেউ কারো মুখের দিকেও তাকায় না
                                          হে নারী  !
যাদের সন্মান জানিয়ে
নিজের আর্মানের জলাঞ্জলি দিয়েছ
বলতে পারো
তারা কি দিয়েছে তোমায়?
তোমার টুটি টিপে হত্যা করেছে
তুমি খুন হয়েছ ; খুন ;
লাশ হয়েছ তুমি, চলতে ফিরতে জিন্দা লাশ
                                               হে নারী  !

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.