হবিগঞ্জে কাপড় ব্যবসায়ীদের লাভের সীমা নির্ধারণ : সমস্যা হলেই কল দিন ৩৩৩ নম্বরে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জে কাপড়ে ১শ’ থেকে ৩শ’ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করেন ব্যবসায়ীরা। অনেক ক্ষেত্রে আবার মুনাফার পরিমাণ কয়েকশ গুণে পরিণত হয়। বিশেষ করে ঈদে কাপড় ব্যবসায়িরা নিয়ন্ত্রহীন মুনাফা নিয়ে থাকেন। তাই এই ঈদে যেন কোন কাপড় ব্যবসায়ি অধিক মুনাফা না নিতে পারে তাই ব্যবসায়ীদের সম্মতিতে একমত পোষণ করে কাপড়ের মুনাফা নির্ধারণ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

হবিগঞ্জে মুনাফার নতুন হার ২০ শতাংশ, ২৫ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার কাপড় ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতি জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ বিটিসি নিউজকে বলেন, কাপড় ব্যবসায়িদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্রয়মূল্য অনুযায়ি দুই হাজার টাকার কাপড়ে ৩০ শতাংশ, ৫ হাজার টাকার কাপড়ে ২৫ শতাংশ ও ৫ হাজার টাকার উপরে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মুনাফা করতে পারবে।

এর আগে ২৯ এপ্রিল দুই হাজার টাকার কাপড়ে ২০ শতাংশ, ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ এবং এর অধিক দামের কাপড়ে ১০ শতাংশ পর্যন্ত তারা মুনাফা নির্ধারণ করা দেয়া হয়েছিলো।

এদিকে, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি না করার জন্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ সময় বলা হয়, অনেক দেশেই রমজানে বিভিন্ন পণ্যে ছাড় দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের এখানে বেশি মুনাফার অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এটা সত্যিই দুঃখজনক। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রমজানে তা হবে না বলে আশ্বাস দেন। এসব বিষয় মনিটরিংয়ে পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও সহযোগিতা করবেন বলে জানান। পাশাপাশি যে কোনো অসংলগ্নতায় সহযোগিতার জন্য ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম ফজলুল হক, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বলসহ আরো অনেকে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.