স্বাগত ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:  আজ ১ জানুয়ারি ২০২০। খ্রিস্টীয় নববর্ষ। নতুন বছর মানেই পুরনোকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলা। আশা আর স্বপ্নপূরণে প্রত্যয়ী হওয়া। অনেক কারণেই ২০১৯ সাল ছিল আলোচিত-সমালোচিত।

নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস’ত গোটা দুনিয়ার মানুষ। হতাশা আর জরাকে পায়ে মাড়িয়ে আশা-উদ্দীপনায় নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখবে সবাই। না পাওয়ার বেদনা ভুলে নতুনের সুরে গাইবে জীবনের জয়গান।

অগ্রযাত্রার মশাল হাতে নিয়ে আলোময় আর সুন্দর করবে জীবনের পথচলা। সকল পুরনো পেছনে রেখে নতুনকে সারথি করতে ব্যাকুল হবে মন। আকুল হবে নতুন বছরের নতুন সূর্যে মনের রঙ রাঙাতে। দিবসটি উপলড়্গে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

গ্রেট ব্রিটেনে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রচলিত হয় ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে। এই ক্যালেন্ডার আমাদের দেশে নিয়ে আসে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের আগে নাম ছিল জুলিয়ান ক্যালেন্ডার।

খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার মিসরে প্রচলিত ক্যালেন্ডারটি রোমে এনে তার কিছুটা সংস্কার করে রোম সাম্রাজ্যে চালু করেন।

এই ক্যালেন্ডারে জুলিয়াস সিজারের নামে জুলাই মাসের নামকরণ করা হয়। মিসরীয়রা বর্ষ গণনা করত ৩৬৫ দিনে। তাদের ক্যালেন্ডার সংস্কার করে জুলিয়াস সিজার যে ক্যালেন্ডার রোমে প্রবর্তন করলেন তাতে বছর হলো ৩০০ সাড়ে পঁয়ষট্টি দিনে।

তবে মিসরীয় ক্যালেন্ডার পরীড়্গা-নিরীড়্গা করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন, এই ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪২৩৬ অব্দে। খ্রিস্টীয় নববর্ষের প্রবর্তন নিয়ে ভিন্ন মতও আছে।

পশ্চিমা বিশ্ব এই দিনকে বিশেষ গুরত্ব দিয়ে পালন করে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ছে সামপ্রতিক বছরগুলোতে। বিশেষ করে তরম্নণ-তরম্নণীরা খ্রিস্টীয় নববর্ষকে স্মরণ করতে বিশেষ আয়োজনে মেতে ওঠে।

রাজধানী ঢাকা ও রাজশাহীতে এ উপলড়্গে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবসা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয় দেশের অন্যান্য শহরেও।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.