স্কোপাসের জরিপে গবেষণাপত্র প্রকাশের শীর্ষে রাবি শিক্ষক ইয়ামিন

রাবি প্রতিনিধি: বিশ্বের গবেষণা আউটপুটের শীর্ষ সংগঠন স্কোপাস জরিপে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ব্যক্তিগত গবেষণাপত্রের প্রকাশিত সংখ্যার ভিত্তিতে শীর্ষে অবস্থান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. ইয়ামিন হোসেন। জরিপ অনুযায়ী ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাঁর ৮৫টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
গতকাল রবিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটি এ তথ্য প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে ইয়ামিন হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে পোস্ট করেন।
এছাড়া ৮৩ টি গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের একমাত্র পদার্থ বিজ্ঞানের ইমেরিটাস অধ্যাপক অরুণ কুমার বসাক।
এ বিষয়ে গবেষক ড. মোহা. ইয়ামিন হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘স্কোপাস জরিপের প্রথমে আসার জন্য আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমান করোনার সময় সবকিছু বন্ধ থাকলেও আমাদের গবেষণার কাজ বন্ধ নেই। আমার বাড়িতে ছোট একটি ল্যাব আছে সেখান ৭ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত গবেষণার কাজ করছে। ছাত্ররাই এখন গবেষণাপত্রের কাজ বেশি করে। আমি শুধু তাদের দিকনির্দেশনা দেই। তাদের জন্য আমার এতগুলো গবেষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
দেশে গবেষণাপত্র প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ আমাদের দেশে ভালো গবেষণা করে সেটি বিশ্বের ভালো জার্নালে প্রকাশ করা বেশ কঠিন। আবার দেশে গবেষণা করার জন্য যে অর্থ দরকার সেটি পাওয়া আরো বেশি কঠিন। আমাদের দেশে অনেক গবেষক আছেন কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতা নেই বেশি। এ জন্য অনেক সময় নতুন গবেষকরা মনোবল হারিয়ে ফেলেন। তবে চেষ্টা থাকলে সফল হওয়া যায়। গবেষণা না থাকলে কোন দেশই উন্নতি করতে পারে না তাই দেশে অনেক ধরনের গবেষণা হওয়া দরকার।’
বর্তমান গবেষণার বিষয়গুলো সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা বর্তমানে সামুদ্রিক বিভিন্ন মাছ, ঝিনুক ও দেশীয় মাছ, শামুক নিয়ে কয়েকটি প্রজেক্টে গবেষণা করছি। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধারার নিষিদ্ধ সময় যেটি দেওয়া আছে তার বৈজ্ঞানি কোন ভিত্তি নেই। আমরা সমুদ্রের সব মাছদের নিয়ে গবেষণা করে নিষিদ্ধ সময় এবং সব মাছগুলোর ক্যাটালগ তৈরীর চেষ্টার কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। দেশীয় মাছ ও শামুক সংরক্ষণের একটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি।’
গবেষক ইয়ামিনের শিক্ষা জীবন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স। তারপর জাপানের কগোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গবেষণা  ও বিভিন্ন গবেষণার কাজে ৮ বছর ব্যয় করেন। ২০০৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার পদে যোগদান করেছিলেন তিনি।
এছাড়াও বাংলাদেশ ফিরারিজ গবেষণা ফোরাম থেকে ‘সেরা গবেষণা উপস্থাপনা পুরষ্কার ২০১৬’ মনোনীত ও দি ওয়াল্ড একাডেমি অব সায়েন্স থেকে ‘তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার ২০১৫’সহ বিভিন্ন পুরুষ্কার ও সম্মান অর্জন করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.