সৈয়দপুরের ১৬ বহুতল ভবন মালিক হাজিরা দিলেন দুদকে রেলওয়ের ৫ হাজার কোটি টাকার জমি আত্মসাতের অভিযোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি:  নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ের জমিতে গড়ে তোলা বহুতল ভবনের ১৬ মালিক হাজিরা দিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের একজন উপপরিচালক স্বাক্ষরিক এক পত্রের প্রেক্ষিতে তারা ২৯ অক্টোবর ঢাকাস্থ সেগুন বাগিচায় দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য প্রদান করেছেন। প্রদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন সৈয়দপুরের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী বিউটি সাইকেল স্টোরের মালিক আলতাফ আহমেদ, আজিম উদ্দিন হোটেলে মালিক নিজাম বিন আজিম, ওয়ারেস খাঁনের ছেলে ইকবাল খাঁন (ভোলা), মৃত. সুলতান মাদারীর ছেলে বিশিস্ট চাউল ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন ভোলা, মৃত. সামির আহমেদের ছেলে শাহজাদ মুরাদ, গোয়ালপাড়ার জহির উদ্দিনের ছেলে জাকির উদ্দিন, মৃত. নাসির উদ্দিনের ছেলে নান্নু মিয়া, মৃত. ফতে আলমের স্ত্রী শাহনাজ বানু, মৃত. ইলিয়াসের ছেলে ও বাগদাদ ক্লোথ স্টোরের মালিক গোলাম জিলানী, আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ শাহিন, মোঃ শাহবাজের স্ত্রী রাজিয়া বেগম, মৃত. আজগার আলীর ছেলে আনোয়ার আলী ও শওকত আলী, কোহিনুর ক্লোথ স্টোরের মালিক মোঃ শাহিন।

এছাড়া ঠিকান ভুল থাকায় খুজে পাওয়া যায়নি এমন দুইজন হলেন হাজী জাবেদ আলীর ছেলে এনামুল ইসলাম, ঋতু মিয়ার ছেলে ফিরোজ আলী এবং বাঁশবাড়ী মহল্লার একজন মৃত ব্যক্তি ডাঃ অনিল কুমারের ছেলে অমিত কুমার এর সন্তানেরা তাদের বাবার নামের সমন তথা পত্র গ্রহণ করেনি।

উল্লেখিতদের ঠিকানায় গত ২১ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কর্তৃক ২৯ অক্টোবর দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়। সৈয়দপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে পৌছানো এসংক্রান্ত পত্রে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় যে, সৈয়দপুর (নীলফামারী) রেলওয়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ভূ-সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ। এর প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত বিষয়ে নোটিশ তথা পত্র প্রাপ্তদের বক্তব্য প্রদান ও গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। এজন্য নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নামে বা সন্তানের নামে অথবা অন্য কোন নামে সৈয়দপুর পৌরসভার অধীন বাংলাদেশ রেলওয়ের জমির উপর নির্মিত বাড়ি বা দোকান এর জমি লীজ বা ভাড়া অথবা লাইসেন্স গ্রহণের রেকর্ডপত্র এবং বাড়ি-দোকান-মার্কেট নির্মাণের অনুমোদিত নক্সা ও জমি-দোকানের লাইসেন্স ভাড়া প্রদানের রশিদসহ উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়।

এতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত আপনার কোন বক্তব্য নেই বলে গণ্য করা হবে। এর প্রেক্ষিতে উল্লেখিত ব্যক্তিরা যথাসময়ে দুদকে হাজিরা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বিউটি সাইকেল স্টোরের মালিক আলতাফ আহমেদ বিটিসি নিউজকে বলেন, দুদকের চিঠি পেয়ে আমার পক্ষে আমার ভাতিজা দুদকে হাজির হয়ে তারা যে কাগজপত্র চেয়েছিল তা জমা দিয়ে এসেছে। সম্প্রতি এ ঘটনা জানা জানি হলে সৈয়দপুরের রেলওয়ে জমিতে যাদের বহুতল ভবন রয়েছে তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বিশেষ করে যারা নোটিশ পাননি তারা এ ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য না পাওয়ায় চরম দিশেহারা অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কেননা নোটিশ প্রাপ্তরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে তাদের বৈধতা নিশ্চিত করতে পারলেও অন্যদের ক্ষেত্রে কি করা হবে তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। এমতাবস্থায় রেলওয়ের জমি কেনা বেচার সাথে জড়িতরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নীলফামারী প্রতিনিধি এম কে আনোয়ার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.