সাধারণ নাগরিকদের ব্যাঙ্কিং সচেনতা

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি অনুষ্ঠানে এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্তব্য করে ছিলেন,দেশের সাধারণ নাগরিকদের তিনি এবং তাঁর সরকার ব্যাঙ্ক বিষয়ক সমস্ত পরিষেবা সম্বন্ধে ওয়াকিবহল করিয়ে ছিলেন।
অর্থাত তিনি বোঝাতে চাইছেন যে, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপির সরকার আসার আগে ব্যাঙ্কের কার্যবিধি সম্পর্কে আমআদমির কোনও ধারণাই ছিল না। স্বভাবতই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এবং বিরোধীদের কাছে তা অতিরিক্ত অক্সিজেন জুগিয়েছে।
এখন কথা হলো ব্যাঙ্কের বাস্তব পরিসংখ্যান বলছে,দেশে প্রায় ছ’কোটি জনধন অ্যাকাউন্ট এখন নিষ্ক্রিয়। তাতে কখনও লেনদেন হয়নি। তথ্য বলছে জনধন অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে আছে সবচেয়ে বেশী বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে়।
ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের সংগঠন বলছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে যতটুকু লোকবল ছিল মোদী জামানায় তা অর্ধেকে ঠেকেছে।
অর্থমন্ত্রকের পেশ করা সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নিষ্ক্রিয় হয়ে মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৮২ লক্ষ ৩২ হাজার। এর মধ্যে মহিলাদের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ২ কোটি ২লক্ষ।
এবারে পশ্চিমবঙ্গের অ্যাকাউন্টের পরিস্থিতি-মোট জনধন অ্যাকাউন্ট-৪ কোটি ৮ লক্ষ ৯৩ হাজার। তার মধ্যে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৩৩ লক্ষ ৬৫ হাজার। অর্থাত ৮% নিষ্ক্রিয়। খোদ মোদীর রাজ্য,গুজরাতে অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়েছে ১৭%। উত্তর প্রদেশে নিষ্ক্রিয়র সংখ্যা ১৭%।
একই ভাবে উত্তরাখণ্ডে ১৮%,ছত্তিশগড়ে ১৩%, চণ্ডিগড়ে ২৩%, গোয়ায় ৩১%, হরিয়ানায় ১৮%, কর্ণাটকে ১৪%ও মধ্যপ্রদেশে ১৭% জনধন অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়েছে।
এর অর্থ নাগরিকেরা নামেই জনধন অ্যাকাউন্ট করেছে। কোনও লেনদেন করতে পারেনি বা লেনদেন করার মতো আর্থিক সামর্থ্য তাঁদের নেই।
আর যেটুকু সচল অ্যাকাউন্ট বাস্তবে আছে তা চলছে সরকারী ভর্তুকি বা অনুদানের টাকায়। যেমন-কৃষকভাতা, ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা, রান্নার গ্যাসের ভর্তুকির টাকা। কোটি কোটি অ্যাকাউন্ট এভাবেই অক্সিজেন নিচ্ছে।
ব্যাঙ্ক অফিসারদের সর্বভারতীয় সংগঠনের রাজ্য শাখার সম্পাদক শ্রী সঞ্জয় দাস বলেন, ২০১৪ সালে মোদীসরকার আগে যেখানে, যদি ব্যাঙ্কের শাখা গুলোতে ১০ জন কাজ করতেন এখন তা নেমে হয়েছে ৫ জন। অর্থাত অর্ধেক কর্মীসংখ্যা নিয়ে শাখা গুলি কাজ করছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে ২০০৮সালে বিশ্বব্যাপী মন্দার ফলে ব্যাঙ্ক তথা অনেক প্রতিষ্ঠানের লোকবল ও শাখা সংগঠনের অবলুপ্তি ঘটেছে। বর্তমানে ব্যাঙ্ক সংযুক্তি করণের পরে অনেক শাখার অবলুপ্তি হয়েছে, সেই সাথে কমেছে কর্মী সংখ্যাও। এখনও পর্যন্ত কোনও কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি ও অবসর গ্রহনের পর শূন্য পদেরও কোন পুরন হয়নি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.