ইসরাইলকে জার্মানির সামরিক সহায়তায় সায় জাতিসংঘ আদালতের

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলকে জার্মানির সামরিক সহায়তায় সায় দিয়েছে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত আইসিজে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রাথমিক এক রায়ে ইসরাইলকে জার্মানির সামরিক সহায়তার পথে বাধা না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সংস্থাটি।
আইসিজেতে নিকারাগুয়া অভিযোগ করেছিল, ইসরাইলকে দেয়া জার্মানির অস্ত্র গাজায় চলমান গণহত্যাকে সমর্থন করার শামিল। নিকারাগুয়া আরও বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন চলতে দিয়ে ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে জার্মানি।
চলতি মাসে আইসিজেতে শুনানি শুরু হওয়া নিকারাগুয়ার মামলাটি পুরোপুরি খারিজ করে দেয়ার অনুরোধ করে জার্মানি। কিন্তু আইসিজে না নাকচ করে দেয়। সেই সঙ্গে জানায়, মামলাটির শুনানি চলবে। তবে শুনানি শেষ হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
তবে মঙ্গলবার মামলার প্রাথমিক রায় দেয় জাতিসংঘের এই আদালত। আইসিজের প্রাথমিক রায়কে স্বাগত জানিয়েছে জার্মানি। দেশটিরর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। জার্মানি মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের কোনো পক্ষ নয়- বরং একেবারে বিপরীত। আমরা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য দিনরাত কাজ করছি। আমরা ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তার সবচেয়ে বড় দাতা।
সুইডেনের স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রির হিসেব বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরাইলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করা দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে জার্মানি।
তবে আইসিজের শুনানিতে জানান জার্মানির প্রতিনিধি ক্রিস্টিয়ান টামস বলেন, গত বছরের অক্টোবরের পর ইসরাইলে জার্মানির রফতানি করা অস্ত্রের ৯৮ শতাংশই ভেস্ট, হেলমেট ও দূরবীনের মতো সাধারণ উপকরণ। এছাড়া গত নভেম্বর থেকে ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে বলেও দাবি এই জার্মান প্রতিনিধির।
এদিকে বুধবার (১ মে) গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন ২০৮তম দিনে গড়িয়েছে। এদিনও উপত্যজুড়ে নির্বিচার বোমাবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৫৬৮ জনে। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজার ৭৬৫ জন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.