সাউদাম্পটনকে গোল বন্যায় ভাসালো ম্যানইউ

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: নিজেদের মাঠে সাউদাম্পটনকে রীতিমত গোল বন্যায় ভাসালো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অতিথিদের ৯-০ গোলে হারিয়ে ইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করলো রেড ডেভিলরা। ওপর ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না আর্সেনাল। উলভার হ্যাম্পটনের বিপক্ষে ২-১ গোলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে নয় জনের মিকেল আর্তেতার দল।
চলতি মৌসুমে চারটি ম্যাচে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চারটিই ঘরের মাঠে। তাইতো, ঘরই যখন বিভীষণ তখন ঘুরে দাঁড়ানো ছাড়া পথ কি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যা হয় আর কী! ওল্ড ট্রাফোর্ডে তাই সাউদাম্পটনকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলায় মেতে ওঠে রেড ডেভিলরা, যদিও ছল হার এড়ানোর চ্যালেঞ্জ। কিন্তু কে জানত! এদিন ইতিহাস গড়বেন থিয়েটার অব ড্রিমের নায়কেরা!
মঙ্গলবার রাতের এ ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই বড় ধাক্কা খায় সাউদাম্পটন। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন দলটির মিডফিল্ডার আলেকজান্দ্রে ইয়ানকোভিতস। এই সুযোগে ১৮ মিনিটেই প্রথম গোলটি করেন ওয়ান বিসাকা। সাত মিনিট পর ম্যাসন গ্রিনউডের পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন র‍্যাশফোর্ড। ৩৪ মিনিটে ইয়ান বেদনারেকের আত্মঘাতী গোলে বাড়ে ব্যবধান। পাঁচ মিনিট পর হেডে স্কোরলাইন ৪-০ করেন এডিনসন কাভানি।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও ন্যুনতম ব্যবধান গড়তে না পারা সাউদাম্পটন খায় আরও দুটি গোল, ম্যাচের ৬৯ ও ৭১ মিনিটে। নিজেদের মাঠে রীতিমত ছেলে খেলা শুরু করে রাশফোর্ড-মার্শিয়ালরা। শেষ দিকে মার্সিয়ালকে ডি-বক্সে ফাউল করে লাল কার্ড পেলে ৯ জনের দলে পরিণত হয় সাউদাম্পটন।
এ সময় স্পট কিকে ব্রুনো ফার্নান্দেস বল জালে পাঠানোর পর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মার্সিয়াল। আর যোগ করা সময়ে ম্যাচের নবম গোলটি করেন জেমস। তাতে ১৯৯৫ সালের পর আবারও প্রতিপক্ষের জালে ৯ গোল দিল পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
এদিকে, উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষেও ৯ জনের দলে পরিণত হয়েছিল আর্সেনাল। শেষ ম্যাচেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে হোঁচট খেয়েছিল তারা। এবার আর উঠে দাঁড়াতেই পারলো না। পরিণতি হতাশাজনক হার।
খেলার প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো আর্সেনাল। কিন্তু বুকায়ো সাকার শট ক্রসবারে লাগে। অষ্টম মিনিটে সেই বুকায়োই ফের বল জালে পাঠালেও বেরসিক ভিএআরের সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
এই জোড়া সুযোগ হারনোর পরও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। ৩৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণদূর্গকে  চূর্ণ করে গোল করেন পেপে। তবে ভাল কিছু বলতে ওই পর্যন্তই। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লুইস। তবে পেনাল্টির সহজ সুযোগ মিস করেননি নেভেস।
যদিও দ্বিতীয়ার্ধের ৪ মিনিটেই ম্যাচে লিড নেয় উলভারহ্যাম্পটন। আর ৭২ মিনিটে ফের ধাক্কা খায় আর্সেনাল। সীমা অতিক্রম করে বল ক্লিয়ার করায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় গোলরক্ষক লেনোকে। যাতে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি আর্সেনালের। মেনে নিতে হয় উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে আসরের দুই দেখাতেই হারের লজ্জা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.