বিটিসিআন্তর্জাতিকডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে সহিংসতা এবং বিক্ষোভের জেরে রাজধানী কলম্বোয় জারি করা করাফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।
দেশটিতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য সরকারকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার রাতে কলম্বোর মিরিহানায় প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের ব্যক্তিগত বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে কয়েকশ মানুষ।
তারা প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। শেষ পর্যন্ত টিয়ার শেল আর জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
এরপর রাতেই কলম্বো উত্তর, দক্ষিণ, কলম্বো সেন্ট্রাল, নুগেগোদা, মাউন্ট লাভিনিয়া এবং কেলানিয়া এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়।
দেশটির পুলিশের মুখপাত্র নিহাল থালডুয়া বলেন, বিক্ষোভের সময় সেনাবাহিনীর একটি বাস, জিপ, থ্রি-হুইলার, দুটি ট্রাফিক মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
ওই ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের নুগেগোদা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন নিহাল থালডুয়া।
অপরিশোধিত তেলের মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় গত মাসে শ্রীলঙ্কা তাদের একমাত্র তেল শোধনাগারটি বন্ধ করে দেয়। ডিজেল সঙ্কট যত বাড়বে বিদ্যুতের লোডশেডিংও তত বাড়তে থাকবে।
বিদ্যুৎ না পাওয়ায় দেশটির প্রধান স্টক মার্কেটে লেনদেনের সময় কমিয়ে এনেও কাজ হচ্ছে না। বিদ্যুৎ বাঁচাতে সড়ক বাতিও নিভিয়ে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ মন্ত্রী পবিত্র ভান্নিয়ারাচ্চি।
শ্রীলঙ্কার পরিসংখ্যান বিভাগ জানিয়েছে, মার্চে মূল্যস্ফীতি হয়েছে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১৮.৭ শতাংশ। খাদপণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০.২ শতাংশে পৌঁছেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, অর্থনৈতিক এই সংকট সামাল দিতে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার রাতে ওই বিক্ষোভ শুরু হয়। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.