শেষ হলো ঘরমুখো টিকিট যুদ্ধ…!

 

বিটিসি নিউজ ডেস্ক:  ‍শেষ হলো ১৫ জুনের টিকিট দেওয়ার মধ্য দিয়ে  ঈদে ঘরমুখো ট্রেনযাত্রার টিকিট যুদ্ধ।

ঈদের বাকি আর মাত্র সপ্তাহখানেক। তাই কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেতে   স্টেশনে অপেক্ষা করেন ঘরমুখো হাজারো মানুষ।

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিনে কমলাপুর স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় ছিল। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে টিকিটের জন্য রীতিমতো যুদ্ধে নামেন রাজধানীবাসী। শেষ হলো এ যুদ্ধ ১৫ জুনের টিকিট দেওয়ার মধ্য দিয়ে।

 

স্পেশাল সার্ভিসের বাড়তি চার হাজারসহ গতকাল ২৬টি কাউন্টারে ২৭ হাজার ৪৬০ টিকিট ছাড়া হয়। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বিক্রি হয় অনলাইনে, আর বিভিন্ন কোটার জন্য বরাদ্দ ১০ শতাংশ। এতে ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয় টিকিটপ্রত্যাশীদের।

শেষ দিনে কমলাপুর স্টেশনে হাজারো মানুষের মধ্যে অন্য দিনের তুলনায় নারী টিকিটপ্রত্যাশীর সংখ্যা ছিল বেশি। কাউন্টারের সামনের সারিতে টিকিটের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরা অভিযোগ করেন, কম্পিউটারে টিকিট ব্লক করে রাখা হয়েছে। টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। ১৬/১৭ ঘণ্টা লাইনে থেকেও টিকিট মিলছে না।

স্টেশনে অব্যবস্থাপনার কিছু অভিযোগ থাকলেও দীর্ঘ অপেক্ষার এ কষ্টকে ঈদের আনন্দ হিসেবেই নিয়েছেন যাত্রীরা। প্রায় ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও টিকিট পাওয়া যাত্রীরা বলেন, ‘ভালো লাগছে, টিকিট পেয়েছি। মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করতে পারব।’ যে কোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে কমলাপুর রেলস্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পও বসানো হয়।

স্টেশন এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয় ।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫ জুনের টিকিটের জন্য  স্টেশন এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হতে থাকে। যারা রাত ১০টার আগে এসে সারিবদ্ধ হন তাদের বেশিরভাগই বেলা ১১টার মধ্যে টিকিট হাতে নিয়ে ফিরে গেছেন।

দিনে যারা  এসেছে  তাদের বেশিরভাগই টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে খালি হাতে চলে গেছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.