শেষ ওভারে হাসান ম্যাজিকে সিরিজ জিতলো টাইগাররা

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: শেষ ওভারে হাসান মাহমুদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২৭৪ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ২৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান করতে সক্ষম হয় আয়ারল্যান্ড।
এ দিন একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ অভিষেক হয় ব্যাটার রনি তালুকদার ও পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর। অভিষিক্ত ম্যাচে তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন রনি। তবে অভিষেক রাঙাতে পারলেন না এই ব্যাটার। শুরু থেকেই আইরিশ পেসারদের তোপের মুখে ধুঁকতে থাকে রনি। মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। দলীয় ১৮ রানে ১৪ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান রনি। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রনি।
এরপর  ক্রিজে আসেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরি করা নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন তামিম। কিছুটা মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন শান্ত। তবে দলীয় ৬৭ রানে আউট হন শান্ত। ৩২ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন লিটন দাস। লিটনকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তামিম। সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন লিটন। তবে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন তিনি। দলীয় ১৩৭ রানে ৩৯ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। তবে অন্যপ্রান্তে কিছুটা দেখেশুনে খেলে ৬১ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম।
তামিমের ফিফটির পর পরই সাজঘরে ফিরে যান তাওহিদ হৃদয়। দলীয় ১৫৯ রানে ১৬ বলে ১৩ রান করে ফিরে যান তিনি। হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন তামিম। তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি।
দলীয় ১৮৬ রানে ৮২ বলে ৬৯ রান করে আউট হন তামিম। তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী মিরাজ। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৭৫ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ২৬১ রানে ৫৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন মুশফিক।
মুশফিকের বিদায়ের পর দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। দলীয় ২৬৫ রানে ৩৯ বলে ৩৫ করে ফিরে যান তিনি। এরপর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
২৭৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মুস্তাফিজ রহমান। দলীয় ১৭ রানে স্টিফেন ডোহেনিকে আউট করেন তিনি। ১৬ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ডোহানি।
এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি। বালবির্নিকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন পল স্টার্লিং। টাইগার বোলারদের সুযোগ না দিয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৮ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন স্টার্লিং। স্টার্লিংয়ের পর ৭১ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন বালবির্নি।
এরপর দলীয় ১২৬ রানে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন এবাদত হোসেন। এরপর দ্রুতই উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ২২৫ থেকে ২৪২ রানের মধ্যে ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আইরিশরা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১০ রান প্রয়োজন হয় আয়ারল্যান্ডের। শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে মাত্র ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.