শিক্ষক ভাতিজার হাতে চাচা-চাচী নির্যাতিনের শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে

নাটোর  প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে শিক্ষক ভাতিজার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে নাটোরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে চাচী ও চাচা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কৃষক আকরাম হোসেনের মরিচের ক্ষেত নষ্ট করে পানি নামার জন্য ড্রেন তৈরী করছিল  আপন ভাতিজা মাদ্রাসা শিক্ষক রবিউল ইসলাম।
এ ঘটনা জানার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে  কৃষক আকরাম হোসেন মরিচের ক্ষেত নষ্ট করার প্রতিবাদ করলে শ্যামপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক রবিউল ইসলাম নেতৃত্বে সহোদর ভাই রেজাউল করিম,মোঃ মুরাদ হোসেন বাবু, মোঃআবু হেনা বকুল,  মন্টু,রহমান,হাবিব ক্ষীপ্ত হয়ে গালিগালাজ করে।
এ সময় আকরাম হোসেন মরিচ ক্ষেতে ড্রেন নির্মানে বাঁধা দিলে আপন ভাতিজা রবিউলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী রা  লাঠি, রড়,হাতুড়ি ও কোদাল দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। পরে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসর জন্য নিয়ে যায়।
পরে একই সন্ত্রাসীরা  আকরামের ছোট ভাই আফজাল হোসেনের বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় আফজালের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাঁধা দিলে তাকে রেজাউল করিম ও জাহাঙ্গীর আলম মারপিট করে  এবং শীলতাহানী করে। পরে গ্রামবাসী রোজিনার অত্মচিৎকার শুনে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে তাকেই বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য  নিয়ে যায়। সেখানেই সন্ত্রাসী ভাতিজা রবিউল ও রেজাউল চড়াও হলে আত্মারক্ষার্থে আকরাম এবং তার ভাইয়ের স্ত্রী রোজিনা পালিয়ে নাটোর চলে আসে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করে। নিরাপত্তার অভাবে গত তিনদিন ধরে নাটোরে এক আত্মীয়র বাসায় রয়েছে।
এবিষযে জানতে চাইলে রোজিনা বেগম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমার সাথে আমার শিক্ষক  ভাতিজা রেজাউল করিম ও জাহাঙ্গীর আলম যে আচরণ করেছে তা লজ্জাই বলতে পারবো না। তাদের কাছে থেকে এমন আচারন পাবার আগে কেন আমার মৃত্যু হলো না।কান্না ভরা কন্ঠে তিনি সাংবাদিকদের এমন তথ্য দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক রবিউল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, তাদের মারপিট করা হয়নি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তারা বানোয়াট অভিযোগ করেছে ।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি । দ্রুত তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে । তাদের নাটোরে পালিয়ে থাকার কোন দরকার নেই। আমাদের জানালে নিরাপত্তা দেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.