লালমনিরহাটে উপরি না দেয়ায় কৃষকদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দিলেন স্টেশন মাস্টার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে উপরি না দেয়ায় ১৫ জন কৃষককে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ ‍উঠেছে। এই ঘটনায় কৃষকরা স্টেশন মাস্টারর ওপর চড়াও হয়েছেন।
আজ রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, জেলার পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ওসমান গণি, আমিনুর ইসলাম, ফজলুল হকসহ ১৫ জন কৃষক দিনাজপুরের গম গবেষণা উপকেন্দ্র কর্তৃক দেয়া জেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ শেষে পাটগ্রাম ফিরে যেতে রেল স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের টিকেট  কাটেন। তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে ছিল প্রশিক্ষণে পাওয়া ২১ কেজি ওজনের একটি করে ছোট বস্তা।
প্রতিটি বস্তায় ৬ কেজি গমের বীজ, ১০ কেজি ইউরিয়া, ৩ কেজি টিএসপি ও ৩ কেজি পটাশ সার।
কৃষক ওসমান গণি ও ফজলুল হক বিটিসি নিউজকে জানান, আমরা ১৫ জন সার ও বীজের ২১ কেজির বস্তা নিয়ে টিকেট কেটে ট্রেনে উঠি। এরপর স্টেশন মাস্টার বস্তা প্রতি আমাদের কাছে ১৫০ টাকা করে দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্টেশন মাস্টার নিজাম উদ্দিন বস্তাগুলো ট্রেন থেকে নিচে ফেলে দেন।
এমন একাধিকবার করলে একপর্যায়ে ট্রেন ছেড়ে দেয়। পরে কৃষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
বিক্ষুব্ধ কৃষকরা স্টেশন মাস্টারের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি তড়িঘড়ি করে অফিস কক্ষে পালিয়ে যান।
কৃষক আমিনুর ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘ট্রেনের টিকেটের পেছনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২৩ কেজি মালামাল বিনা খরচায় পরিবহন করতে পারবেন। অথচ স্টেশন মাস্টার প্রত্যেকের কাছে ১৫০ করে টাকা দাবি করেন। আমরা বারবার বোঝাতে চেয়েছি যে আমরা সবাই টিকেট কেটেছি এবং এই পরিমাণ মালামাল আমরা নিয়ম অনুযায়ী বিনা ভাড়ায় বহন করতে পারবো। কিন্তু স্টেশন মাস্টার টাকা ছাড়া কিছুতেই মানতে চায়নি।’
এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার নিজাম উদ্দিন এই বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘তাঁরা অনেকেই টিকেট কাটেননি। তাই মালামালের বুকিং দিতে বলা হয়েছে।’ কিন্তু কৃষকদের কাটা টিকেট তাৎক্ষণিকভাবে নিজাম উদ্দিনকে দেখানো হলে তিনি আর কোনো উত্তর দেননি।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শফিকুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘যাত্রীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.