লকডাউনের পেটের দায়ে পেশা বদলে করছেন ১০০ দিনের কাজ, আবার কেউ চালাচ্ছেন টোটো ((ভিডিও)

নদীয়া (ভারত) প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপুর ফুলিয়ার তাঁত শিল্পের খ্যাতি ছিল রাজ্যের নানা প্রান্তে, এমনকি বিদেশেও। সেই শিল্পে আঘাত এনেছে গত বছর থেকে।
করোনা অতিমারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল তাঁত। এখনো ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। বাইরে ও কাপড় পাঠানোর ক্ষেত্রে পরিবহনের সমস্যা রয়েছে। ফলে ঘরেই জমছে উৎপাদিত শাড়ি। সংসারিক হাল ফেরাতে এ অবস্থায় মাকু ছেড়ে তাঁতিরা ঝুঁকছেন বিভিন্ন পেশায়।
দীর্ঘ প্রায় ১ বছর যাবৎ কোরোনার অতিমারিতে কখনো লকডাউন আবার কখনও আনলক হয়েছে কিন্তু কোনো মতেই যেন তাঁতিদের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।
শান্তিপুর ,ফুলিয়া,হবিবপুর  সহ নদিয়ার একাধিক জায়গার মানুষ তাঁত শিল্পের সাথে যুক্ত। তাদের সংসার চলে এই তাঁতে তৈরি শাড়ি কাপড়  থেকে। কিন্তু কোরোনার প্রকোপ এবং বিধি নিষেধের কারণে গ্রাহক না থাকায় ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করতে হয়েছে। ফলে সমস্যায় পরেছে বহু তাঁতি।
অনেকে সংসারের হাল ফেরাতে রাস্তায় নেমেছে টুকটুকি নিয়ে আবার অনেকে স্থানীয় পঙ্চায়েতে আবেদন করেছেন ১০০ দিনের কাজের জন্যে। আর তাদের ডাকে সারা দিয়ে ফুলিয়া টাউনসিপ গ্রাম পঙ্চায়েতের প্রধান বহু তাঁতিকে ১০০ দিনের কাজে নিযুক্ত করেছেন যার ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে সেই তাঁতি পরিবারের।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর নদীয়া (ভারত) প্রতিনিধি গোপাল বিশ্বাস। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.