রুয়েট গেইটের ভেতর থেকে ফেনসিডিল বিক্রি, জনতার ধাওয়া খেয়ে পালালো বিক্রেতা


নিজস্ব প্রতিবেদক: রুয়েট গেইটের ভেতর থেকে ফেনসিডিল বিক্রি করার সময় জনতার ধাওয়া খেয়ে পালালো ফেনসিডিল কারবারি পলাশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধা ৬টায় কাজলা (ফ্লাইওভারের রাস্তা সংলগ্ন) রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) নতুন গেইটের ভেতর থেকে ৩জন মাদক সেবির কাছে ফেনসিডিল বিক্রি করছিলো পলাশ। এ সময় জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় সে।
মাদক কারবারি পলাশ (৪২), নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন ভদ্রা খাসপাড়া এলাকার হাবুতার ছেলে।
সরেজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জনৈক দুখু-সহ আরও দুইজন মাদকসেবীকে রুয়েটের নতুন গেইট দিয়ে ফেনসিডিল দিচ্ছিলো মাদক কারবারি পলাশ। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী টনি, পারভেজ ও রুমেল নামের তিনজন যুবক ওই রাস্তা ধরে অক্ট্রয় মোড়ের দিকে আসছিলেন। কাস্টমারকে ফেনসিডিল দিতে দেখে মোটরসাইকেল আরোহী তিন যুবক মাদক কারবারিকে ধরতে যায়। কিন্তু মাদকসেবী জনৈক আসাদুল হক দুখু নামের এক মাদকসেবী তাদের পথরোধ করে এবং মাদক কারবারি পলাশকে বলে তুই পালিয়ে যা। ফলে খুব সহজেই মাদক কারবারি পালিয়ে যায়। এ নিয়ে মাদকসেবী এবং পথচারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। তবে মাদক সেবীদের খুব মায়া মাদক কারবারিদের উপর। তাদের দৃষ্টিতে এলাকা থেকে দূরে যেতে হয় মাদক সেবন করতে। কাছেই রুয়েটের ভেতর হাত বাড়ালেই মিলছে ফেনসিডিল।
উল্লেখ্য, মাদক কারবারি পলাশ। সে গত প্রায় ২০বছর ধরে মাদক কারকবারের সাথে জড়িত। আগে ছিলো লেবার এখন মহাজন। মাদকের কারবার করেই অনেক অর্থের মালিক হয়েছে পলাশ। গড়েছে বিল্ডিং ও ক্রয় করেছে জমি। কিন্তু গত প্রায় ২বছর যাবত রুয়েটের অভ্যান্তরে শিয়ালের মত ঘাপটি মেরে ফেনসিডিল বিক্রি করলেও ধরা পড়েনি একবারও।
রুয়েট একাধিক কর্মচারী সূত্রে জানা গেছে, পলাশের মাদক কারবারের সাথে জড়িত রয়েছে কয়েকজন মাস্টার রোল কর্মচারী।
জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রুহুল আমিন বিটিসি নিউজকে বলেন, মাত্র মতিহার থানায় যোগদান করেছি। খোঁজ নিয়ে জানবো সত্যা না মিথ্যা। তবে সত্য হলে মাদক কারবারি গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.