নিজস্ব প্রতিবেদক: জনবল নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদার সই করা চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের এ অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক কামরুল আহসান জানান, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বর্তমানে ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সেখ ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও বর্তমানে ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দন্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে।
সোমবার অনুমোদনের চিঠি পেয়েছি বলে জানিয়ে আগামী ২৭ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের আঞ্চলিক সমন্বিত কার্যালয়ে মামলা দায়ের করা হবে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই চার বছরের জন্য রুয়েটের উপাচার্য পদে নিয়োগ পান বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ। নিয়োগ পাওয়ার পরের বছর তিনটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রুয়েটে বিভিন্ন পদে ১৩৫ জনকে নিয়োগ দেন। আর নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয় গত ২০২২ সালের ৪ মে ৯২তম সিন্ডিকেট সভায়।
নিয়োগ অনুমোদনের পর অভিযোগ ওঠে, উপাচার্য স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নিয়ে তার সহোদর মুকুল হোসেনকে সেকশন অফিসার ও আরেক সহোদর লেবারুল ইসলামকে জুনিয়র সেকশন অফিসার ও শ্যালক সোহেল আহমেদকে পিএ টু ডিরেক্টর, চাচাতো বোন মাছুমা খাতুনকে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, গৃহকর্মী লাভলী আরাকে অ্যাসিস্ট্যান্ট কুক, গৃহকর্মী লাভলীর স্বামী এনামুল হককে উপাচার্যের গাড়ি চালক ও স্ত্রীর ফুফাতো ভাই মেহেদী হাসানকে কেয়ারটেকার পদে নিয়োগ দেন। এছাড়া বিজ্ঞাপ্তির প্রকাশ করা পদের চেয়ে বেশি জনবল নিয়োগ দেয়ারও অভিযোগ ওঠে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৪ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম সেখের মেয়াদে দেয়া সব নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে বাতিলের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পর বিষয়টি তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধিমো. মাসুদ রানা রাব্বানী / রাজশাহী। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.