ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। অষ্টম মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থের বাড়ানো থ্রু বল ধরে বক্সে বাড়ান রুবেন সানচেস। দারুণ শটে ঠিকানা খুঁজে নেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। এই গোলে ১-০ গোলের লিড নিয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় এস্পানিওল।
গোল হজম করে আক্রমণের ধার বাড়ায় রিয়াল মাদ্রিও। তবে কোনো ভাবেই পাচ্ছিল না গোলের দেখা। উল্টো ১৫তম মিনিটে ভিনিসিউস সোসার হেড দুর্দান্ত সেভের মাধ্যমে ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। শুরুর চাপ সামলে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে রিয়াল। যার ফল পেতেও খুব বেশি সময় লাগেনি।
ম্যাচের ২২তম মিনিটেই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়াসের নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে রিয়াল। এক গোল দিয়ে থেমে থাকেনি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে যায় ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে। দুর্দান্ত হেডে গোল করেন আরেক ব্রাজিলিয়ান মিলিতাও। এরপর আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-১ ব্যবধানে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল।
অবশ্য প্রথমার্ধে আক্রমণের ধার দ্বিতীয়ার্ধে ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ২০ মিনিটে তেমন কোনো আক্রমণই করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৭১তম মিনিটে ফের একবার এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল, যদি না টনি ক্রুসের জোরালো শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে না চলে যেত। এরপর যোগ করার সময়ের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন অ্যাসেনসিও।
এই জয়ে ২৫ ম্যাচে ১৭ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগে আগামী বুধবার লিভারপুলের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। অ্যানফিল্ডে প্রথম লেগে ৫-২ গোলে জিতেছিল আনচেলত্তি শিষ্যরা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.