রাজশাহী বিভাগে করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেল, সুস্থ্য ৪৬৪ জন !

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহী অঞ্চলে ইতোমধ্যেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। রাজশাহী বিভাগের ছয় জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৮ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন আরও দুই’জন। অপর দুই জেলায় এদিনে কোনো সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ২৫ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী। আজ

শুক্রবার দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তদের মধ্যে বগুড়ার ৭৬ জন, সিরাজগঞ্জের ০১ জন, পাবনায় ১৬ জন, রাজশাহীতে ১২ জন, নাটোরে ০২ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ০১ জন। তবে বিভাগের অপর দুই জেলা জয়পুরহাট ও নওগাঁয় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগি শনাক্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেন।

স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত ২০৯৯ (দুই হাজার নিরানব্বই) জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।এর মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ১১০৯ (এক হাজার একশত নয়) জন আক্রান্ত।

এছাড়াও রাজশাহীতে ১১৬ (একশত ষোল) জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭৯ (উনআশি) জন, নওগাঁয় ১৬৩ (এক’শত তেষট্টি) জন, নাটোরে ৭৮ (আটাত্তর) জন, জয়পুরহাটে ২১৪ (দুই’শত চোদ্দ) জন, সিরাজগঞ্জে ১৬৩ (এক’শত তেষট্টি) জন ও পাবনায় ১৭৭ (এক’শত সাতাত্তর) জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় পাবনা ও সিরাগঞ্জে একজন করে করোনা আক্রান্ত রোগি মারা গেছেন। এ নিয়ে বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জন। তবে এখনো জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগি মারা যায়নি। এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে ০৩ জন, নওগাঁয় ০৩ জন, নাটোরে ০১ জন, বগুড়ায় ১১ জন, সিরাজগঞ্জে ০৩ জন ও পাবনায় ০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে।

অপর দিকে, গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ২৫ জন। এ নিয়ে বিভাগে সুস্থ্য হয়েছেন ৪৬৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগি। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪২ জন, নওগাঁয় ১২০ জন, নাটোরে ৩৯ জন, জয়পুরহাট ১১৫ জন, বগুড়ায় ৮৯ জন, সিরাজগঞ্জ ১৬ জন ও পাবনায় ১০ জন।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিভাগে চারটি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে তিনটি ও বেসরকারি একটি। এর মধ্যে রাজশাহীতে দুইটি ও বগুড়ায় একটি সরকারি। বেসরকারি ল্যাব বগুড়ায়। এছাড়াও অতিরিক্ত নমুনাগুলো ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যাও।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না, প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরতে হবে।

এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবে’ই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের চিকিৎসকরা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.