রাজশাহী নগরীতে হাসুয়ার কোপে গুরুতর আহত গৃহবধূ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রবিবার দুপুরে নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড অন্তর্গত শিরোইল কলোনী এলাকায় শ্যামলীর হাসুয়ার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে মিষ্টি নামের এক গৃহবধু।
এর আগেরদিন শনিবার (১১ মার্চ) বেলা ১২টা ও তার আগেরদিন শুক্রবার একই বিষয়কে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত শ্যামলী ও তার গুন্ডাবাহিনী নিয়ে মিষ্টির বাড়িতে হামলা চালায়। যার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী মিষ্টি ও তার স্বামী ওয়াকিল আহমেদ কালু বাদী হয়ে চন্দ্রিমা থানায় শ্যামলীর নামে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন চন্দ্রিমা থানার ওসি মাসুম পারভেজ। অভিযুক্ত শ্যামলী একই ওয়ার্ডের ডাবলতলা হাজরা পুকুর এলাকার মৃত আজিজুল হকের মেয়ে। শ্যামলী ও তার মেয়ে জামাই সিহাব সহ অন্যান্য গুন্ডাবাহিনীর হাত থেকে ছোট্ট দুই বছরের শিশু বাচ্চা আলিফও ছাড় পাননি হামলাকারিদের হাত থেকে।
অভিযোগ সূত্র ও ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্য মতে জানাগেছে। শিরোইল কলোনীর মৃত শফি মিয়ার ছেলে ওয়াকিল আহমেদ কালু প্রায় ২২ বছর পূর্বে শ্যামলীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। কয়েক বছর পূর্বে কালু বিদেশে থেকে ফেরত আসার পর স্ত্রী শ্যামলী স্বামী কালুর সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারি করে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে।
যার কারনে অবশেষে গত ৪ ডিসেম্বর ২০২২ কালু তার স্ত্রী শ্যামলীকে তালাক দেন। এবং মিষ্টি নামের একজন মেয়েকে বিয়ে করেন সুখের সংসার পাতার আশায়। শ্যামলীর সাথে সংসার করাকালীন সময়ে কালু ডাবতলা এলাকায় দুই কাঠা জমির উপরে প্রথম স্ত্রী শ্যামলীর থাকার জন্য একটি দুতলা বাড়ি নির্মাণ করে দেন। কিন্তু উক্ত জমি ও বাড়িটি কালু নিজের নামেই রাখেন। কালু দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকেই প্রথম স্ত্রী (তালাক প্রাপ্ত) মাঝেমধ্যেই কালুর বাড়িতে জোড়পূর্বক প্রবেশ করে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার ও রবিবার দুই দফায় শ্যামলী ও তার মেয়ের জামাই সিবাহ সহ আরো দশ বারোজন বহিরাগত গুন্ডাবাহিনী নিয়ে কালুর ভাড়া বাসাতে জোড়পূর্বক প্রবেশ করে বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করা ছাড়াও স্ত্রী মিষ্টিকে হাসুয়া দিয়ে কোপ মারে। হাসুয়ার কোপে মিষ্টির বাম হাতে গুরুতর জখম হয়েছে।
পরে আহত স্ত্রী মিষ্টি কে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শেষে কালু বাড়ি ফেরেন। বাড়িতে আসার পর থেকে অভিযুক্ত শ্যামলী ও তার মেয়ের জামাই সিহাব থানা থেকে অভিযোগ তুলে নেবার জন্য নিয়মিত ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকিধামকি দিচ্ছে বলে জানাই ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন কালুর বাড়ির মালিক তুলি। বাড়ির মালিক তুলি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে শ্যামলী ও তার গুন্ডাবাহিনী আমার বাড়ির ভাড়াটিয়ার বাসাতে গিয়ে কয়েক দফা হামলা চালায়। শ্যামলীকে উপরে উঠতে বাঁধা দিলে আমার রান্নাঘরে থাকা হাসুয়া নিয়ে আমাকেও হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে। তারা আমার বাড়িতে জোড়পূর্বক প্রবেশ করে।
ভুক্তভোগী কালু জানান, ডাবতলা এলাকায় আমার যে বাড়িতে আমার প্রথম স্ত্রী (তালাকপ্রাপ্তা) বসবাস করেন সে বাড়িটি নিজের নামে লিখে নেবার জন্যই এমন অনাকাঙ্খিত ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আমার ভেতর ভয়ভীতি সঞ্চার করার এক অপচেষ্টা করছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.