রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাস “শাপলা-পদ্ম’র ক্যাম্পাস”

নিজস্ব প্রতিবেদক: শুভ্রতাকে আপন রঙে মেখেছে পদ্ম, ছড়িয়েছে সৌন্দর্য। রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসে প্রশাসন ভবনের পেছনের পুকুরটিতে দেখা মিলবে শুভ্রতার প্রতীক পদ্ম ফুলের সমারোহ।

শুধু পদ্ম নয়, এই পুকুরে রয়েছে শাপলা- দুর্লভ লাল শাপলা। শাপলা ও পদ্ম ফুল এক সঙ্গে ফুটে থাকতে দেখে যে কারও মনে হতেই পারে, এ যে শাপলা-পদ্মর নিবিড় বন্ধন।

পুকুরটিতে গত বছর লাগানো হয় পদ্ম। নভেম্বর মাসের দিকে দেখা মেলে পদ্ম ফুলের। ২০১২ সালে লাগানো হয় লাল শাপলা। এক বছর পর থেকে ফুটতে থাকে লাল শাপলা এবং এর বংশবৃদ্ধি ঘটতে থাকে। লাল রঙের শাপলার দেখা সচরাচর দেখা মেলে না। তাই কলেজটির পুকুরে শাপলাগুলো দেখে অবাক- সৌন্দর্যে বিমোহিত হন অনেকেই।

কলেজের একজন  শিক্ষার্থী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে পুকুর পাড়ের পদ্ম ও শাপলাগুলো। ক্লাস বিরতি বা ছুটি হলে বন্ধুরা মিলে বেশ আড্ডা জমে পুকুর পাড়ে। অসাধারণ সুন্দর প্রাঙ্গণ। বলা যায়, বাতাসে শাপলা ও পদ্মের দোলা মুহূর্তেই ভালো করে দেবে যে কারও মন।

কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, পদ্ম ফুল আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। কলেজের পুকুরে যে লাল শাপলা তা সহজলভ্য নয়। এই শাপলার রঙে চোখ জুড়িয়ে যায়। পুকুর বা জলাশয় যেখানে পদ্ম বা শাপলা আছে সেখানে মাছ চাষ করা যাবে না। মাছ চাষ করলে পদ্ম বা অন্যান্য জলজ উদ্ভিদের ক্ষতি সাধন হয়।

রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহা. হবিবুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, পদ্ম ফুলের সৌন্দর্য যে কাউকে বিমোহিত করবে। শাপলা-পদ্মের সাথে ছেলেবেলার স্মৃতি জড়িত থাকে। এই ফুল শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।

আজকাল খালেবিলে শাপলা দেখা গেলেও পদ্ম ফুল বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য গত বছর তানোর থেকে ১৫টা পদ্ম এনে কলেজের পুকুরে লাগিয়েছিলাম। তার আগে আনা হয়েছে লাল শাপলা। বর্তমানে শাপলা ও পদ্ম ফুলে পুরো পুকুর ছেয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এক সময়ে কেউ এই পুকুরের দিকে তাকাত না। মরা পুকুরটি এখন জীবিত। শিক্ষার্থী তথা দর্শনার্থীদের মনের খোরাক মেটাচ্ছে এই পদ্ম-শাপলার পুকুরটি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.