রাজশাহীর দারুসা মেসার্স মতিউর ফিলিং স্টেশনে তেল ভেজাল ও মাপে কম দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পবা উপজেলার দারুশা বাজারে অবস্থিত মেসার্স মতিউর ফিলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে পেট্রোল ও ডিজেলে কেরোসিন মিশ্রনসহ পরিমানে কম দেওয়া হচ্ছে। কেরোসিন মিশ্রিত ডিজেল ও পেট্রোল ব্যবহার করার ফলে একাধিক যানবাহনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মেসার্স মতিউর ফিলিং স্টেশন ম্যানেজার সোনারুল জানান, তার পাম্পে প্রতিদিন পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি হয় ৫ থেকে ৬ হাজার লিটার। আবার কখনো কখনো ২ হাজার লিটার থেকে তিন হাজার লিটারও বিক্রি হয়ে থাকে। এর মধ্যে ডিজেল বিক্রি হয় বেশি।
অপরদিকে, বিএসটিআই’র ওজন ও পরিমাপ বিভাগ বলছে, ওজনে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মতিউর ফিলিং স্টেশন প্রতি ১০ লিটার পেট্রোল ৫০ মি.লি. গ্রাহকদের কম দিচ্ছে। একইভাবে ডিজেল প্রতি ১০ লিটারে ৫০ মি.লি. কম দেয়া হচ্ছে। যার মাস শেষে দাঁড়ায় ডিজেল ২৮ লিটার ও পেট্রোল ৪৫ লিটার।
এর মধ্যে ডিজেল বিক্রি বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে ডিজেল ১৮ হাজার ২০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই পাম্পের মালিক। জালিয়াতির এ ঘটনা ধরা পড়ার পর বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট (বিএসটিআই) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওজন ও পরিমাপ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এবং সংশোধনী এ্যাক্ট ২০০১ সালের আইনে মামলা দিয়েছে।
এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, দারুশা বাজারের পার্শ্বে মেসার্স মতিউর ফিলিং স্টেশনটি স্থাপিত। এই স্টেশনে দীর্ঘদিন ধরে পেট্রোল ও ডিজেল পরিমানে কম দেয়াসহ কেরোসিন মিশ্রন করে কৌশলে তা বিক্রয় করে আসছে। তাছাড়া ও ম্যাজিস্ট্রেট বলে গিয়েছেন যদি আর তেলে ভেজাল পাওয়া যায় তাহলে পাম্পেরর লাইসেন্স বাতিল করা হবে ।
কিন্তু সেই নিয়ম অমান্য করে আবারো এই ফিলিং স্টেশনে পেট্রোল ও ডিজেলে অবাদে কেরোসিন মেশানো হচ্ছে।এদিকে উক্ত ফিলিং স্টেশন থেকে কেরোসিন মিশ্রিত পেট্রোল ও ডিজেল ব্যবহার করায় সাহাপুর গ্রামের রনি ইসলামের মোটরসাইকেলসহ একাধিক ব্যক্তির যানবাহনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে।
একই এলাকার মোটরসাইকেল চালক বলেন, আমি মতিউর ফিলিং ষ্টেশন থেকে ৩০০ টাকার তেল কিনি। তেল নিয়ে কিছুদুর গেলে মোটরসাইকেল এর ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পরে মিস্ত্রি দেখালে বলে তেলে মধ্যে ভেজালের জন্য এই সমস্যা হয়েছে। ওয়াস করলে আবার ইঞ্জিন ভাল হয়।
শুধু গ্রাহকের অভিযোগ নয়, মান নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) কয়েকবার জরিমানা করেছে পাম্পটিকে। অথচ বিএসটিআই’র জরিমানার কথা অস্বীকার করে পাম্প কর্তৃপক্ষ। তেল কম দেয়া প্রসঙ্গে পাম্পের মালিক মুতুর্জা বলেন, আমরা কাউকে ওজনে কম দেই না। তেল কম দিলে আমাদের কাছে ক্রেতা আসত না।
বিএসটিআইয়ের তথ্য মতে, ওজনে কম এবং ভেজাল জ্বালানি তেল বিক্রি করায় পদ্মা অয়েল কোম্পানির অধীনে রাজশাহীর দারুশার মতিউর ফিলিং স্টেশনকে কয়েকবার জরিমানা করা হয়েছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.