রাজশাহীতে ৬৫ বছরের বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত করলো এক বখাটে যুবক!

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে রাজিব (২৪) নামের এক বখাটে যুবক। এ ঘটনায় কাটাখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী বৃদ্ধ।

বৃদ্ধ‘র নাম মো. দানেশ আলী (৬৫)। তার বাড়ি নগরীর উপকন্ঠ কাটাখালী থানাধিন রহনহাট আশরাফের মোড় গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত জসিমুদ্দিনের ছেলে।

অপরদিকে বখাটে রাজিব একই গ্রামের রাজ্জাকের ছেলে।

বৃদ্ধ দানেশ আলী জানায়, আমার বাড়ির রাস্তাধরে রাজিবের বাড়ির লোকজন পার্শবর্তী একটি পুকুরে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত (২৭ আগস্ট) পুকুরে যাবার সময় রাজিবের মা নাসিমা রাস্তায় ময়লা পড়ে থাকতে দেখেন।

আর এতেই নেমে আসে বিপত্তি। শুরু করেন অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ। ওই সময় আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে গালিগালাজের কারন জানতে চাই। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নাসিমা। আমাকে চড় থাপ্পড় মেরে বসেন নাসিমা। নাসিমা ঝগড়াটে ও ভয়ংকর প্রকৃতীর মহিলা।

বৃদ্ধ আরও বলেন, আমাকে মেরেও তার ক্ষোভ কমেনি। বাড়ি গিয়ে সত্য মিথ্য যোগ করে ছেলে রাজিবকে ক্ষেপিয়েছেন। সাথে বলেন ওই বুড়া আমাকে ধাক্কা মেরেছে।

মাকে মেরেছে বলে কথা! রাজিব ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তায় অপেক্ষা করতে থাকে। কখন বৃদ্ধ যাবে মসজিদে।

ওই দিনই সন্ধায় মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন বৃদ্ধ। পথিমধ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পেছন থেকে নাসিমার ছেলে রাজিব বাঁশের লাঠি দিয়ে ঘাড়ে ও শরিরের বিভিন্ন অংশে এলাপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে আহত করে আমাকে। এতে আমি রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। হৈচৈ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা।

পরে তারা আমাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। চার দিন রামেকে চিকি’সা শেষে কর্তব্যরত চিকি’সক ছুটি দেন আমাকে।

বাড়ি ফিরে গত (২ সেপ্টেম্বর) কাটাখালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এখন অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বখাটে বাজিব ও তার মা বলেও জানান বৃদ্ধ দানেশ আলী।

জানতে চাইলে কাটাখালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বৃদ্ধকে আঘাত করে কঠিন অপরাধ করেছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধ বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্তভার এসআই শাহীনকে দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি জি, এম হাসান সালাম বাবুল। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.