রাজশাহীতে সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে মো. সাগর আলী নামে সেনাবাহিনীর এক সদস্যের বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজশাহী প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলা হয়।
এছাড়া এদিন বিয়ের দাবিতে ওই সেনাসদস্যের গ্রামের বাসায় অনশন করেন কলেজছাত্রী।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাসা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়। তিনি নাটোরের একটি কলেজে অনার্সে অধ্যয়নরত। অভিযুক্ত সাগর আলীর বাসাও দুর্গাপুরে। তিনি ঝালুকা এলাকার বাবর আলীর ছেলে। সাগর বর্তমানে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত রয়েছেন।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক করেন সেনাসদস্য সাগর। সে ধর্ষণ করেছে আমার মেয়েকে।
গত বছরের ২৪ জুলাই আমার মেয়েকে রাজশাহী শহরে এনে একটি হোটেলের ঘরে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে সাগর। আমরা বিয়ে কথা বললে তার পরিবার বিয়ে দিতে রাজি হয় নি।
গত ৪ এপ্রিল আমার মেয়েকে নির্যাতন করেছে তারা। দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলমের দাবি, ন্যায়বিচারের জন্য তিনি গত ৭ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করতে গেলে দুর্গাপুর থানার ওসি খায়রুল ইসলাম ও এসআই মাহফুজ অভিযোগ না নিয়ে উল্টো তাকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে ‘১৪ শিকের ভাত’ (জেলখানা) ভাত খাওয়ানোর হুমকি দেন।
পরে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে একটি অভিযোগ দিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
এ ঘটনায় ন্যায়বিচারের আকুতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেনাসদস্য সাগর আলীর ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তার সব নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, তাদের অভিযোগ সঠিক নয়। আর কারও বিয়ে দিয়ে দেয়া পুলিশের কাজ নয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি সাইদুর রহমান / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.