স্বামী স্ত্রীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা: আদমদীঘিতে শিশুপুত্রকে অপহরণ ও খুন করে লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগ

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে মুসা নামের সাত বছরের এক শিশুপুত্রকে কৌশলে অপহরণ করে বাসায় ছাদে নিয়ে হাত পা বেঁধে লাশ গুমের অভিপ্রায়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা অভিযোগে স্বামী স্ত্রীসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামের মামুন প্রামানিক বাদি হয়ে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদমদীঘির আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করলে আদালত গত ২২ এপ্রিল বাদির আনিত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে তার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ওসি আদমদীঘি থানাকে নির্দেশ দেন।
ওই মামলায় আসামী করা হয়েছে, আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম চিমনাপাড়ার আহম্মাদ আলী (৬০), তার স্ত্রী তহমিনা নখাতুন (৫০), শফিক ফকির ((৪০), রাব্বি হাসান (২০), সবুজ প্রামানিক (২৫), সোহেল প্রামানিক (২০), ও মোছাঃ লুৎফন (৫০)।
মামলা সুত্রে জানাযায়, আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামের মামুন প্রামানিকের সাথে পরশি আহম্মেদ প্রামানিকসহ অপর আসামীদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত ৯ এপ্রিল বেলা ২ টায় বাদি মামুন প্রামানিকের ৭ বছর বয়সের শিশুপত্র মুসাকে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে সুকৌশলে অপহরণ করে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে আসামী শফিক ফকিরের বিল্ডিং বাসার ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে অঅসামীরা শিশুপুত্র মুসার হাত,পা বেঁধে মারপিট করে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করলে শিশুটি চিৎকার করে।
প্রতিবেশিরা জানতে পেরে বাসার ছাদ থেকে গুরুতর আহত শিশু মুসাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত শিশু মুসাকে আদমদীঘি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.