রাজশাহীতে টিসিবির পণ্য জব্দ : দোকানীর দাবী ত্রান রাখা হয়েছিলো বিতরনের জন্য

বিশেষ প্রতিনিধি: গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানার রেশমপট্টি এলাকার একটি মুদির দোকান থেকে টিসিবির পন্য জব্দ করে। পন্যগুলির মধ্যে ছিলো ১ হাজার ৫২০ লিটার সয়াবিন তেল, চিনি ৩৫০ কেজি, মসুরের ডাউল ৩০০ কেজি এবং ২০০ কেজি ছোলা।
এ নিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য মুদির দোকানের প্রোপাইটার কাজলকে নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয়ের কর্মকর্তা।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে নগরীর সাগরপাড়া এলাকার ছোটকা, রিয়াজ, আকাশ, সাজু, নূরুলসহ একাধিক স্থানীয়রা জানায়, ৩০ বছর যাবৎ তিনি মুদির ব্যবস্যা করে আসছেন কাজল। ব্যবস্যা আর হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তার একমাত্র লক্ষ্য। তিনি প্রতি বছর রমজান মাসে স্বল্প আয়ের মামুষ ও হতদরিদ্রদের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার বিতরন করে থাকেন।
এরই ধারাবাহিকতায় তিনি এবং তার কয়েকজন শুভাকাঙ্খি মিলে রোজার শুরু থেকেই অল্প অল্প করে টিসিবির পন্য কিনে নিজ দোকানের পাশের সিড়ি ঘরে নিচে পন্য গুলি মওজুদ করছিলেন।
কিন্তু জনৈক প্রতিপক্ষ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে মিথ্যা তথ্য দেয় যে, মুদির দোকানের প্রোপাইটার কাজল টিসিবির পন্য মওজুদ করছে বিক্রির লক্ষ্যে। তথ্য অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে টিসিবির পন্য জব্দ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কতৃপক্ষ।
মুদির দোকানের প্রোপাইটার কাজলের দাবি, টিসিবির পন্য দোকানে বিক্রি করা নিষিদ্ধ। এবং এটা একটা অপরাধমূলক কর্মকান্ড। তারপরও আমি কেন টিসিবির পন্য মওজুদ করবো। আমার দোকানের পাশে সিড়ির নিচে থেকে যে সকল টিসিবির পন্য জব্দ করা হয়েছে। ওই পন্য গুলি আগামী ২৫ রোজায় ঈদ উপলক্ষ্যে গবির, অসহায় ও দিনমুজুরদের মাঝে বিতরন করার লক্ষ্যে মওজুদ করা হয়েছিলো।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মহাদয় যদি আমাকে জব্দকৃত পন্য ফেরত দেন। তাহলে আমি এবং আমার শুভাকাঙ্খিরা মিলে আগামী ২৫ রোজায় গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে এ সকল পন্য গুলি বিতরন করবো। এতে অসহায় লোকজন উপকৃত হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.