রাজশাহীতেও বিশেষ লকডাউন জরুরি বললেন রামেক হাসপাতাল পরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তা কমাতে রাজশাহীতেও বিশেষ লকডাউন দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজাদানী। আজ শনিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, হাসপাতালের এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ করোনা রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এরপর আরও রোগী ভর্তি হলে তখন চিকিৎসা সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। এখন প্রতিটি রোগীদের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত প্রতিটি বেডে রোগীদের এসব ব্যবস্থা করা আছে। ফলে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বেশির ভাগ রোগী সূস্থ হয়ে গেছেন। এরপর রোগী ভর্তি হলে তখন একই বেডে ডাবল রোগী রাখা কিংবা ফ্লোরে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে অক্সিজেনের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে না।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, পাবনা, কুষ্টিয়া জেলার রোগীরাও চিকিৎসা নিতে আসেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আজ শনিবার পর্যন্ত হাসপাতালের করোনার ওয়ার্ড ও আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১৯১ জন। যার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জেরই রোগী চিকিৎসাধীন আছেন ৯৪ জন। রাজশাহীর করোর করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলছে। এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে গত পাঁচ দিনে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।শনিবারও হাসপাতালে মারা গেছেন ৭ জন। এছাড়া সারাদেশে ১৩ জন করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে যার মধ্যে ৭ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের।
হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী বিটিসি নিউজকে জানান, যেভাবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। তাতে রাজশাহীতেও করোনার ভারতীয় ধরনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কোন এলাকায় বেশি হয়েছে কিংবা কারা বেশি শনাক্ত হচ্ছেন তা আরও বিস্তৃত গবেষণা করেই বলা সম্ভব হবে। জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমেই তা জানা যাবে।তবে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সংক্রমণ কমাতে লকডাউনের বিকল্প নেই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.