তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, চীনের নিন্দা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে নিন্দা জানিয়েছে চীন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (৮ মে) তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তরণ করেছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। তাইওয়ানের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহ আগেই এটি তাইওয়ান প্রণালীতে ঢোকে। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং।
চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের একটি অংশ বলে মনে করে। যে কারণে চীন এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বরাবরই সতর্কতা দেখিয়ে আসছে। অন্যদিকে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র এটিকে একটি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচনা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ও দেশটির নৌ-বাহিনীর টহল বিমান প্রতি মাসে অন্তত একবার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে বা সরাসরি তাইওয়ানের ওপর দিয়ে যায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে নিজেদের ব্যাখ্যা দিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর ৭ম নৌবহর। তারা বলছে, তাইওয়ান প্রণালীকে আন্তর্জাতিক কোনো আইন ভাঙা হয়নি। আর্লে বার্ক শ্রেণির গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস হ্যালসি বুধবার পানির মধ্য দিয়ে একটি রুটিন তাইওয়ান স্ট্রেইট ট্রানজিট পরিচালনা করেছে।
এদিকে সমালোচনা করে চীনা সামরিক বাহিনী বলছে, যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর মাধ্যমে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। তবে সমুদ্রযাত্রার সময় মার্কিন জাহাজকে পর্যবেক্ষণ ও সতর্ক করার জন্য নৌ ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল বলেও জানায় তারা।
পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, থিয়েটারে সৈন্যরা সবসময় সতর্ক থাকে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন জাহাজটি প্রণালী দিয়ে দক্ষিণে যাত্রা করেছে ও তাইওয়ান বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। এসময় অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়েনি।
সেইসঙ্গে তাইওয়ান সরকার বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, শুধুমাত্র দ্বীপের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।
এদিকে বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই বারবার চীনের সাথে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। উদ্বোধনের আগে ও পরে দ্বীপের চারপাশে যেকোনো। চীনা সামরিক কৌশলের জন্য তাইওয়ান সতর্ক রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত চার বছরে চীনের সামরিক বাহিনী তাইওয়ানের আশেপাশে তার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল প্রণালীর মধ্যরেখার ওপর যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করা। কারণ, রাজনৈতিকভাবে চীন এই মধ্যরেখার অস্তিত্ব স্বীকার করে না। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.