রাজবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি’র সংঘর্ষ, আটক-২৫

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ মে) দুপুর ১২টার দিকে শহরের বকুলতলা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজবাড়ীতে আগে থেকেই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় জেলা বিএনপি। সকাল থেকেই পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শহরের সজ্জনকান্দা এলাকায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বাসায় নেতাকর্মীরা সমবেত হতে থাকে। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শহরের আজাদী ময়দান এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু দুপুর ১২টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা খৈয়মের বাসার সামনে সমবেত বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে তারা পাল্টা ধাওয়া দেয়। এসময় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটলে তাদের ফেলে যাওয়া কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এরপর আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের নেতৃত্বে তার বাসভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পুলিশ সেটি আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কে পৌরসভার কার্যালয়ের সামনে এলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় পুলিশ অন্তত ২৫ জনকে আটক করে।
এ ঘটনার পর আবারও আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের বাসভবনের সামনে সমবেত হয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তারা মিছিল করতে করতে আবারও বকুল তলার দিকে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশও শটগান দিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ছেলেরা হামলা চালায়। পুলিশও বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ ও গুলি বর্ষণ করেছে। এতে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ২৫ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপির উশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা পুলিশ লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শটগান দিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ইটপাটকেলের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাজবাড়ী প্রতিনিধি মো. আব্দুল জলিল#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.