যে কারণে এবাদতকে সারাজীবন মনে রাখতে বাধ্য টেলর

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: টেস্ট ক্রিকেটে আর মাঠে দেখা যাবে না নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তী ব্যাটার রস টেলরকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট খেলেই পাঁচ দিনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। ফলে বাংলাদেশের নামটা তার ক্যারিয়ারে একটা বিশেষ জায়গা নিয়েই থাকবে। পেসার এবাদত হোসেনের নামটা হয়তো বেশিই মনে রাখবেন কিউই কিংবদন্তী!
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার নায়ক এবাদত হোসেন। তার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের সুবাদেই নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে প্রথমবারের মতো হারাতে সক্ষম হয়েছে লাল-সবুজ পতাকাধারীরা। সেই ম্যাচে বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে এবাদতকে যেন খেলতেই পারেননি রস টেলর। বারবার বোকা বনেছেন এবং শেষ পর্যন্ত আউটও হয়েছেন। মূলত তার উইকেটটির কারণেই দ্রুত কিউইদের অলআউট করতে সক্ষম হয় টাইগাররা।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টেও এবাদতের বলে আউট হয়েছেন রস টেলর। আর তাকে মনে রাখার সবচেয়ে বড় কারণটি, এবাদতের উইকেট শিকার করেই খেলার ইতি টেনেছেন টেলর। বাংলাদেশের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন সিলেটের এই পেসার। এর মধ্য দিয়ে ৮৫ টেস্ট পর উইকেটের দেখা পেয়েছেন রস টেলর। যা বিশ্ব রেকর্ডও। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনের (৮০ টেস্ট)।
এছাড়াও আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন কিউই কিংবদন্তী। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে তার শেষ স্পেলের বোলিং ফিগার অবিশ্বাস্য ০.৩-০-০-১! অর্থাৎ কোনো রান না দিয়ে উইকেট। সম্ভবত ইতিহাসের প্রথম কোনো বোলার হিসেবে এ কীর্তি গড়লেন টেলর।
বাংলাদেশকেও যে তিনি বিশেষভাবে মনে রাখবেন সেটা টুইট বার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন। শেষবারের মতো যখন ব্যাটিংয়ে নামেন টেলর তখন তাকে গার্ড অব অনার দেয় বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। যা টেলরের মন ছুঁয়ে গেছে। তাইতো টুইটে লিখেছেন, ‘ক্রিজে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ দল যেভাবে সম্মান দেখিয়েছে, সত্যিই নাড়া দিয়েছে। এটা আমি কখনো ভুলবো না।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.