যুব ইউনিয়নের উদ্যাগে ১৪ ফেব্রুয়ারী ‘স্বৈরাচার প্রতিরােধ দিবস’ পালিত

খুলনা ব্যুরো: কেন্দ্র ঘােষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন খুলনা জেলা কমিটির উদ্যােগে ১৪ ফেব্রুয়ারী ‘স্বৈরাচার প্রতিরােধ দিবস’ উপলক্ষে এক আলাচনা সভা আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের খুলনা জেলা সভাপতি এড. নিত্যানন্দ ঢালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলােচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ইউনিয়নের  কেন্দ্রীয়  প্রসিডিয়াম সদস্য এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক যুব ইউনিয়ন নেতা নিতাই পাল, যুব ইউনিয়ন নেতা আব্দুল হালিম, ধীমান বিশ্বাস, সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজ, আফজাল হােসেন রাজু, তুষার বর্মণ, ডাঃ গৌরাঙ্গ সমাদ্দার, উজ্জ্বল বিশ্বাস, শেখ রাজিব, সােহেল রানা, রামপ্রসাদ রায়, শুভজিৎ দাস প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সালের এ দিন স্বরাচারী এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খান প্রস্তাবিত সাম্প্রদায়িক ও বাণিজ্যিক শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে তৎকালীন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে সচিবালয় অভিমুখে মিছিল যাত্রা শুরু করলে মিছিলে পুলিশ টিয়ারগ্যাস, জলকামান ও গুলি বর্ষণ করে।
এত নিহত হন জাফর, জয়নাল, মােজাম্মেল, আইয়ুব, কাঞ্চন ও দীপালি সাহাসহ ১০জন। পুলিশের ট্রাকের চাপায় পঙ্গুত্ব বরণ করেন আরও অনেক। তৎকালীন সরকারি হিসেবে গ্রেফতার হন ১৩১০ জন। এ আন্দেলনের ফলে সামরিক স্বৈরাচার মাথানত করে এবং  শিক্ষানীতি বাতিল করে ও ঘরােয়া রাজনীতির অধিকার দিতে বাধ্য হয়।
এ রক্তাত্ব পথ ধরেই পরবর্তীতে স্বৈরাচার বিরােধী আন্দোলন তীব্র হয় এবং স্বৈরাচারের পতন হয়। বক্তারা বলেন, খুবই দুঃখজনক যে, কিছু চাটুকার রাজনীতিবিদ শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানী করে পতিত স্বৈরাচার কে পুনর্বাসিত করে। তারা তাদের সাথে নিয়ে চূড়ান্ত একনায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে লিপ্ত হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.