যুদ্ধাপরাধের বিচার কীভাবে হয়ে থাকে?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের আদালত এরই মধ্যে এক রুশ সৈন্যের শাস্তি দিয়েছে। এক নিরস্ত্র লোককে গুলি করার ঘটনায় ২১-বছর বয়সী ট্যাঙ্ক কমান্ডার ভাদিম শিশিমারিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
তবে একজন সৈন্যকে শাস্তি দেয়া সহজ হলেও কোন মিলিটারি কমান্ডার বা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রে এটি আসলে কঠিণ হয়ে উঠতে পারে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইউক্রেনে ২০১৩ সাল থেকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া অপরাধের তদন্ত করছে।
কিন্তু আইসিসি সাধারণত সেসব দেশেই যুদ্ধাপরাধের বিচার কাজ নিজেরা পরিচালনা করে যেসব দেশে বিচার ব্যবস্থা সাধারণত খুব দুর্বল হয়ে থাকে।
রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধেও ‘আক্রমণাত্মক যুদ্ধ পরিচালনা’ এই অভিযোগে আইসিসি তাকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারে। সেক্ষেত্রে দেখা হয় অহেতুক অভিযান অথবা সংঘর্ষ যা আত্মরক্ষার জন্য নয় এমন কার্যকলাপকে।
কিন্তু এক্ষেত্রেও আইসিসি ভ্লাদিমির পুতিনের মতো রাশিয়ান নেতাকে বিচারের মুখোমুখি করাতে পারবে না কারণ রাশিয়া এর সদস্যই নয়, বলছিলেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ফিলিপ স্যান্ডস।
তাত্ত্বিকভাবে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আইসিসিকে এই অভিযোগের তদন্ত করতে বলতে পারে। কিন্তু রাশিয়ার আবার সেটা ভেটো দেবার ক্ষমতা আছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.