যুদ্ধকে পেছনে ঠেলে আজ স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি ইউক্রেন

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: রাশিয়ার আক্রমণের ফলে ইউক্রেনের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্লে-অফ খেলার মত অবস্থা ছিল না। সে কারণে গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে প্লে-অফের ম্যাচটি খেলতে পারেনি ইউক্রেনীয়রা।
অন্যদিকে দেশটিতে আগ্রাসন চালানোর কারণে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ফিফা।
যুদ্ধাবস্থা এখনও শেষ হয়নি। বরং, এর গতি যেন বেড়েছে। রাশিয়ান সেনাবাহিনীর হাতে একের পর এক শহর হারাচ্ছে ইউক্রেন। এর মধ্যেই গ্লাসগোয় বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্লে-অফের সেমিফাইনাল খেলতে মাঠে নামছে ইউক্রেন। এই ম্যাচের বিজয়ী দল প্লে-অফের ফাইনালে ওয়েলসের মুখোমুখি হবে। ওই ম্যাচের জয়ী দল ইংল্যান্ড, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গ্রুপ পর্বে খেলবে বিশ্বকাপে।
গ্লাসগোয় ম্যাচের আগেরদিন সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইউক্রেনের ম্যানসিটির মিডফিল্ডার আলেকসান্দ্র জিনচেঙ্কো। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। ইউক্রেনের প্রতিটি মানুষের এখন স্বপ্ন, এই মুহূর্তে যুদ্ধ বন্ধ হোক। আমি অনেক দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, সারা বিশ্বকে আহ্বান জানাচ্ছি এই যুদ্ধটি বন্ধ করার জন্য। ইউক্রেনের অনেক শিশুর সঙ্গে কথা বলেছি, যারা এখনও যুদ্ধ কী জিনিস বুঝতে শেখেনি, তারা জানে না তাদের দেশে কী হচ্ছে! কিন্তু না বুঝলেও সবাই চাচ্ছে, এখনই যুদ্ধ বন্ধ হোক।’
যুদ্ধ প্রসঙ্গ থেকে বাস্তবে ফিরে আসেন জিনচেঙ্কো। তিনি বলেন, ‘ফুটবলে দল হিসেবে আমাদের একটা স্বপ্ন আছে। আমরা বিশ্বকাপে খেলতে চাই। আমরা এই অসামান্য আবেগকে ইউক্রেনীয় জনগনের মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই। কারণ, এই মুহূর্তে তারা এটার খুব বেশি দাবিদার।’
স্কটল্যান্ডকে এখন শুধুমাত্র ইউক্রেনের বিপক্ষেই নয়, একটি বিশাল জমাট বাধানো আবেগের বিপক্ষেও ফুটবল মাঠে লড়াই করতে হবে। সেই উথলে ওঠা আবেগের ঢেউ সামলে স্কটিশরা কী পারবে সামনে এগিয়ে যেতে?
স্কটল্যান্ডের তারকা ফুটবলার অ্যান্ড্রু রবার্টসন ঠিক এই সতর্কবার্তাই দিয়েছে তার দেশকে। বলে দিয়েছেন, ‘আমাদেরকে ইউক্রেনের সঙ্গে তাদের আবেগের চ্যালেঞ্জের বিপক্ষেও লড়াই করতে হবে।’ #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.