যুক্তরাষ্ট্র’র এবার’র নির্বাচনী ফলাফলে ৩টি দৃশ্যপট দেখা যেতে পারে

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে ৯ কোটি ৯০ লক্ষ ভোটার এরই মধ্যে তাদের ভোট দিয়ে ফেলেছেন ডাকযোগে বা সশরীরে আগাম ভোটের মাধ্যমে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইলেকশন প্রজেক্ট’ নামের একটি সংস্থা এই পরিসংখ্যান সংগ্রহ করেছে। ২০১৬ সালে যত মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন, তার চেয়ে এবারে আগাম ভোট দেয়া মানুষের সংখ্যা অনেক অনেক বেশী।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচন নিয়ে বিবিসির উত্তর আমেরিকা সংবাদদাতা জন সোপেল বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি জানান, তিন ধরণের সম্ভাব্য দৃশ্যপট আমরা দেখতে পারি। এর কোন একটি ঘটলে আমি একটুও অবাক হবো না।

তিনটি দৃশ্যপট হলো-

(১). জো বাইডেনের সহজ জয়: প্রথম দৃশ্যকল্পে দেখা যেতে পারে জনমত জরিপ ঠিক ছিল এবং জো বাইডেন বেশ সহজে জয়লাভ করেছেন।

(২). ট্রাম্পের হতবাক করা জয়: ২০১৬ সালের মতোই জনমত জরিপ ভুল প্রমাণিত হবে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবেন। তার জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে পেনসিলভেনিয়া এবং ফ্লোরিডার ফল।

(৩). জো বাইডেনের বিপুল বিজয়: জো বাইডেন কেবল যে জিতবেন তাই নয়, তিনি জিতবেন বিপুল ব্যবধানে- এটাও একটা সম্ভাবনা। ১৯৮০ সালে জিমি কার্টারের বিরুদ্ধে রোনাল্ড রেগ্যানের যেরকম ধস নামানো বিজয়, অনেকটা সেরকম। অথবা ১৯৮৮ সালে মাইকেল ডুকাকিসের বিরুদ্ধে জর্জ বুশের বিজয়।

তবে একেবারে অভাবিত আরেকটি ফল হতে পারে এরকম: যেহেতু নেব্রাস্কার ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ভাগাভাগি হয়, কাজেই এমন একটা অবস্থা দাঁড়াতে পারে যেখানে দুই প্রার্থীই সমান সংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট পেলেন। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে জেতার জন্য ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক সংখ্যাটি হচ্ছে ২৭০। এই পরিমাণ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেলেই একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিশ্চিতভাবে জয়ী হয়েছেন বলে দাবী করতে পারেন। কিন্তু নেব্রাস্কার ভোট ভাগাভাগি হয়ে ট্রাম্প এবং জো বাইডেন দুজনেই ২৬৯টি করে ইলেকটোরাল ভোট পেতে পারেন, এটাও একটা সম্ভাবনা।

আজ পর্যন্ত এরকম ঘটেনি। সোপেল বলেন, আমি বলবো এর সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু একেবারে অসম্ভব বলা যাবে কি? মনে রাখবেন, এটা কিন্তু ২০২০ সাল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.