মোরেলগঞ্জে ২০ বছরেও হয়নি একটি কাঠের পুল


মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের বদনীভাঙ্গা গ্রামে ২০ বছরেও হয়নি একটি কাঠের পুল। সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে এক গ্রামের মানুষের। জনদুর্ভোগ এখন চরমে।

আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পানগুছি নদীর তীরবর্তী বদনীভাঙ্গা  এ গ্রামটি। গ্রামের দু’ পাড়ে মাঝে রয়েছে বদনীভাঙ্গা খাল। খালের ওপর রয়েছে একটি সুপারি গাছের সাঁকো।

এ সাঁকোটি থেকে প্রতিনিয়ত যাতায়েত করছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। দীর্ঘ ২ যুগের কাছে হলেও খালের ওপর নির্মিত হয়নি কাঠের পুল অথবা কালভার্ড। ইউপি নির্বাচনে একাধিক জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হলেও ওই গ্রামের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন জোটেনি। এখনও সেই সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে গ্রামবাসি।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গ্রামটিতে প্রায় ২ হাজার জনসংখ্যা রয়েছে ৮শ’ পরিবারের বসবাস। রয়েছে বদনীভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বদনীভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দারুল কোরআন সিনিয়র মাদ্রাসা, ৩টি মসজিদের মুসল্লিসহ প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে গ্রামবাসিকে।

ইতোমধ্যে এ সাঁকো ভেঙ্গে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে অনেকেই। ওই গ্রামের বাসিন্দা শ্রমীক মনির হাওলাদার, মৎস্যজীবি সিদ্দিক হাওলাদার, ব্যবসায়ী লিটন হাওলাদার, মুসলিম ব্রিক্স ফিল্ড মালিক শাহ আলম মৃধা, আলমঙ্গীর হাওলাদার সহ একাধিক বাসিন্দারারা ক্ষোভের সাথে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বছরে ২বার করে স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতায় কোন মতে সুপারি গাছ ও বাস দিয়ে মেরামত করতে হয় এ সাঁকোটি। এলাকার জনগনের দুর্ভোগ জনপ্রতিনিধিদের চোঁখে পড়েনা।

তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট তাদের দীর্ঘদিনের এ দুর্ভোগ লাগবের জন্য একটি কাঠের পুল অথবা কালভাট নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ সর্ম্পকে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকরামুজ্জামান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বদনীভাঙ্গা গ্রামে ওইখালের ওপর একটি কালভার্ড নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি এম.পলাশ শরীফ গনেশ পাল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.