হিজবুল্লাহর হামলায় ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’ কথা স্বীকার করল ইসরাইল

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত ৭ মাস ধরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে লেবাননভিত্তিক শিয়া-পন্থি সশস্ত্র সামরিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত। তবে এই ক্ষয়ক্ষতি পুরোপুরি ‘বৃথা যায়নি’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানী জেরুজালেমে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে গ্যালান্ত বলেন, ‘হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের জেরে যে আমাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই এবং আমরা এটা বুঝতে পারি; কিন্তু যে গত কয়েক মাসে যত সন্ত্রাসীকে আমরা হত্যা করতে পেরেছি, সেই সাফল্যও তুচ্ছ নয়।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে গাজায় ক্ষমতাসীন সশস্ত্র ইসলামপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডএফ)। আইডিএফ অভিযান শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহর এসব হামলার জবাবে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ও লেবাননের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকবার বিমান ও গোলা হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। এসব হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ শতাধিক হিজবুল্লাহ যোদ্ধা।
শুক্রবারের বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে আসছি যে আমাদের সব সময় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এতদিন পর্যন্ত কেউ একে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ৭ অক্টোবরের পর সবাই বুঝতে পেরেছে যে আমরা কতখানি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি।’
‘তবে আমরা কখনও পিছু হটব না। সন্ত্রাসীদের প্রতিটি হামলার জবাব আমরা দেবো।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.