মোবাইলের জন্যই ছয় বছরের শিশুকে জবাই করে হত্যা করে নয়ন


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুরে মহিবুল্লাহ নামের ছয় বছরের এক শিশুকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে নয়ন আলী নামে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু ও মহিবুল্লাহ মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আটক কিশোর গুরুদাসপুর উপজেলার সাবগাড়ী গ্রামের মর মন্টুর ছেলে মো. নয়ন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার গোটিয়া মহিষমারী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ইসাহক আলীর ছেলে শিশু মহিবুল্লাহ তার মা’র সাথে প্রায় এক মাস আগে পার্শ্ববর্তী উপজেলা গুরুদাসপুর উপজেলার সাবগাড়ি গ্রামে নানার বাড়ি বেড়াতে যায়।
গত বৃহস্পতিবার (০৬ মে) বিকেলে মোবাইল ফোনে কার্টুন দেখতে দেখতে বাড়ির বাইরে যায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও সে আর ফিরে না এলে সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়না। পরে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দুরে এক ভুট্টার জমিতে তার বস্তাবন্দি গলা কাটা লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির বস্তবন্দি গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জামিল মাহমুদ সহ ডিবি পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে নিশ্চিত করে জানান, রাতে ভুট্টার জমিতে শিশুর গলা কাটা লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়।
গতকাল শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। অপরদিকে গতকাল শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে হত্যকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী নয়নকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রক্তমাখা ছুরি ও মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।
ওসি আব্দুর রজ্জাক জানান মোবাইলের জন্যই নয়ন জবাই করে শিশু মহিবুল্লাহকে হত্যা করে। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.