মহাদেবপুরে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় অবশেষে ১৭ দিন পর থানায় মামলা রেকর্ড


নওগাঁ প্রতিনিধি: বালু মহল নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা ‘যায়যায়দিন’ পত্রিকার প্রতিনিধি ইউসুফ আলী সুমন (২৩) এবং ‘দুরন্ত সংবাদ’ এর প্রতিনিধি আমিনুর রহমান খোকনের উপর হামলার ঘটনায় জল্পনা-কল্পনা শেষে থানায় মামলা হয়েছে। থানায় অভিযোগের ১৭দিন পর গতকাল ২৫ আগষ্ট থানা পুলিশ মামলা আকারে রেকর্ড করেন। এরআগে গত ৫ আগষ্ট উপজেলার মহিষবাথান মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনজনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় অভিযোগ হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ এপ্রিলে আত্রাই নদীর মহিষবাথান বালু মহল নিয়ে ‘মহাদেবপুরে নীতিমালা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন’ শিরোনামে জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে প্রশাসন সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। এরই জের ধরে আত্রাই নদীর মহিষবাথান ঘাটের বালু ব্যবসায়ী হেলাল সরদার (৪০), মতিন(৪৫) এবং রাসেল (৩৫) সহ তাদের সহযোগীরা বিভিন্ন ভাবে ইউসুফ আলী সুমনকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। গত ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেলে মহিষবাথান ঘাট এলাকার নদী পাড়ের বাসীন্দাদের ডাকে আবারো অবৈধ্য খনন যন্ত্র দিয়ে বালু উত্তোলনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে বালু ব্যবসায়ীরা সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তাদের হুমকি-ধামকি দেয়।

গত ৫ আগষ্ট মোটরসাইকেল যোগে সাংবাদিক ইউসুফ আলী সুমন ও আমিনুর রহমান খোকন জেলার পত্নীতলার উপজেলার উদ্যেশে যাওয়ার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহিষবাথান মোড় অপর একটি মোটরসাইকেল তাদেরকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া চেষ্টা করে। ধাক্কায় ইউসুফ আলী সুমন রাস্তায় উপর পড়ে যান। এসময় আমিনুর রহমান খোকন ওই মোটরসাইকেল আরোহীকে বাধা প্রদান করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পূর্ব পরিকল্পিত মোটরসাইকেল আরোহীর লোকজন বালু ব্যবসায়ী হেলাল সরদার, মতিন এবং রাসেল সহ ৫-৭ জন তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে দুইটি ক্যামেরা ও একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।

তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা স্থানীয়দের উপর চড়াও হয় ও সবাইকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ছিনতাইকারী আবার কেউ কল্লা কাটা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এরপর দুই সাংবাদিককে মহিষবাথান মোড়ের একটি দোকানে নিয়ে সাটার বন্ধ করে প্রায় ২ ঘন্টা আটকে রাখা হয়। তারা যেন আইনের আশ্রয় নিতে না পারে এজন্য একটি সাদা কাগজে লেখা আপোসনামায় জোর করে স্বাক্ষর নেয়া হয়। এসময় মোবাইল ফোন ফেরত দেয়া হলেও ক্যামেরা দুইটি ফেরত দেয়া হয়নি। ঘটনাস্থল থেকে এসে তারা মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে যান। অসুস্থ জনিত কারণে থানায় অভিযোগ দিতে বিলম্ব হয়েছে।

মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামী ধরার চেষ্টা অব্যহৃত রয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নওগাঁ প্রতিনিধি মো: আব্বাস আলী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.