ভারতে দূরপাল্লার রেলযাত্রায় রাতের যাত্রীদের জন্য নয়া গাইডলাইন

বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি: দূরপাল্লার রেলযাত্রায় রাতে যাত্রীদের বিশ্রাম এবং ঘুমের যাতে কোনওভাবেই ব্যাঘাত না ঘটে তারজন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় রেল। এব্যাপারে যে পদক্ষেপ করা হচ্ছে তা এককথায় অভূতপূর্ব। পাশাপাশি আরও যত্ন নেওয়া হচ্ছে যাত্রীসাধারণের সুযোগ-সুবিধে, সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়েও।
সূত্রের খবর, রাতের যাত্রীদের জন্য নয়া গাইডলাইন চালু করছে রেল। কী সেই গাইডলাইন?
রাত দশটার পরে কোনও যাত্রী মোবাইল ফোনে উচ্চস্বরে কথা বলতে পারবেন না। গানও শুনতে পারবেন না। অত্যন্ত জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া মোবাইলে কথা বলতে হবে চাপাস্বরে। গান শুনতে হবে হেডফোন লাগিয়ে।
এখানেই শেষ নয়, রাতে হইহুল্লোড়, দলবেঁধে গল্প-আড্ডা দিয়ে সহযাত্রীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ানোর দিনও এবারে শেষ হতে চলেছে। নাইটল্যাম্প ছাড়া  কোনও আলোই জ্বালানো যাবে না জরুরি কারণ না ঘটলে। জানলাও খোলা-বন্ধ করা চলবে না খেয়ালখুশিমতো।
কর্তব্যরত রেলরক্ষী বাহিনীর জওয়ান, রেলপুলিশ, টিকিট পরীক্ষক এবং ক্যাটারিং কর্মীদেরও এমনভাবে চলাফেরা করতে হবে রেলের করিডর দিয়ে, যাতে রাতে যাত্রীদের ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটে কোনওভাবেই। তবে রাতে স্বল্প আলোয় বা অন্ধকারে যাত্রীদের, বিশেষ করে মহিলা, বয়স্ক, অসুস্থ এবং বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের সুবিধে-অসুবিধে এবং নিরাপত্তার দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে রেলকর্মীদেরই। কোনও যাত্রী রেলের গাইডলাইন না মেনে শান্তিভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ালে তাঁদের সতর্ক করার দায়িত্ব কর্তব্যরত রেলকর্মীদেরই। তাতেও কাজ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে রেল-প্রশাসন।
রেলের হঠাৎ কেন এই তৎপরতা? রেলেরই এক পদস্থ কর্তা জানালেন, আসলে দীর্ঘদিন ধরেই অনেক দূরপাল্লার যাত্রী রাতে  তাঁদের ঘুমের ব্যাঘাতের কথা জানাচ্ছিলেন। অভিযোগের আঙুল তুলছিলেন কিছু সহযাত্রীর দিকেই। সেই কারণেই রেলের এই কঠোর পদক্ষেপ। প্রথমে দু’সপ্তাহ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে নয়া গাইডলাইন। তবে রেলের এই নতুন ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েও অনেকেরই অভিমত,রাতে চলন্ত ট্রেনে কিছু যাত্রী সজাগ থাকলে রেলযাত্রায় নিরাপত্তার মাত্রাটা বাড়ে বৈ কমে না।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি সৌম্য সিংহ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.