ব্রাজিল-দ. কোরিয়া ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে স্টেডিয়াম ৯৭৪’র যাত্রা

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: মরুর বুকে প্রথম বিশ্বকাপ। ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র মহারণে ৩২টি দল কাতারজুড়ে ৮টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে নেমেছে। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষ করে এখন চলছে উত্তেজনা ঠাসা নক-আউট রাউন্ড। আজ দিবাগত রাত ১ টায় নক-আউটের ম্যাচে স্টেডিয়াম ৯৭৪’এ মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়া। আর এই ম্যাচ দিয়েই শেষ হতে যাচ্ছে স্টেডিয়াম ৯৭৪’র যাত্রা।

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের জন্য কাতারজুড়ে যে ৮টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্বকাপের আসর শেষে তার মধ্যে প্রায়  সবগুলোরই আসন সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আর এই স্টেডিয়াম ৯৭৪ একেবারেই ভেঙে ফেলা হবে। আজকের ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচটিই সসেই স্টেডিয়ামের শেষ ম্যাচ। এরপর আর কোনো খেলা হবে না এই স্টেডিয়ামে।

ছবি: সংগৃহীত

৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার সেই স্টেডিয়াম বিশ্বের প্রথম কোনো স্টেডিয়াম যেটি তৈরিই করা হয়েছে ভেঙে ফেলার জন্য। কাতারের রাজধানী দোহা থেকে প্রায় ১০ কি.মি. পূর্বে অবস্থিত উপকূলীয় শহর রাস-আবু-আবাউদে নির্মিত এই বিশেষ স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলা হবে বিশ্বকাপের আসর শেষেই।

ছবি: সংগৃহীত

বিশেষ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয় ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর।আজকের ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাচসহ বিশ্বকাপের মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই স্টেডিয়ামে।

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে অস্থায়ীভাবে এই স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়েছে শিপিং কন্টেইনার দিয়ে। বিশ্বে যা কিছুই তৈরি হোক না কেনো তার স্থায়িত্ব আর টেকসই হওয়া নিয়েই আলোচনা থাকে সবসময়। অথচ বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ উপলক্ষ্যে নির্মিত এই স্টেডিয়াম ৯৭৪ তৈরির আগেই আলোচনায় এসেছিলো বিনাশের দিন তারিখ নিয়ে। মরুর বুকে রঙ বেরঙয়ের আলো ছড়িয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে যে স্টেডিয়াম, তার যাত্রা শেষ হচ্ছে আজকের ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচ দিয়ে।

ছবি: সংগৃহীত

এই স্টেডিয়ামের নামে যে ‘৯৭৪’ সংখ্যাটা রয়েছে সেটি আসলে কাতারের আন্তর্জাতিক ডায়াল কোড। নামের পেছনে রহস্য রয়েছে আরো একটি, স্টেডিয়ামটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে ঠিক ঠিক ৯৭৪টি শিপিং কন্টেইনার, এই সংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করতেই নামের সঙ্গেই সেটি জুড়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ছবি: সংগৃহীত

মডিউলার স্টিল ও শিপিং কন্টেনার দিয়ে তৈরির কারণেই আজকের ম্যাচের পর সহজেই ভেঙে ফেলা যাবে এই স্টেডিয়াম। এছাড়াও এটি এমন প্রযুক্তিতে তৈরি যে অন্য কোথাও স্থানান্তর করেও নতুন করে ঠিক একই নকশায় দাঁড় করানো আবার। স্টেডিয়ামে ব্যবহৃত কন্টেনারগুলোও পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.