বিদ্যুতের মিটার চুরি করে রেখে যায় মুঠোফোন নম্বর, টাকা দিলে ফেরত


নাটোর প্রতিনিধি: প্রথমে রাতের অন্ধকারে বিদ্যুতের মিটার চুরি। পরে ওই স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় একটি কাগজ। কাগজে লেখা থাকে মুঠোফোন নম্বর। পরে ওই নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে চাহিদামতো টাকা পাঠানো হলে চুরি হওয়া মিটারটি আবার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
নাটোরে লালপুরে অভিনব কায়দায় রাতের আঁধারে দশটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা যোগাযোগের জন্য চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে ভুক্তভোগীদের কাছে টাকা দাবি করেছে তারা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরের দিকে লালপুর উপজেলার কলসনগর, সাতপুকুরিয়া, চাঁদপুর, ভবানীপুর, কালুপাড়া ও বিভাগ গ্রামে এঘটনা ঘটে।এভাবে চুরির ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন, উপজেলার কলসনগর গ্রামের আমিরুল ইসলাম (৪০), বাচ্চু বিশ্বাস (৪৫), সাতপুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ (৩৫), সেকান্দার আলী, চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রহমান, মিজানুর রহমান, মুক্তার আলী, ভবানীপুর গ্রামের খোয়াজ হাজী, শালেশ্বর গ্রামের আমির।
ভুক্তভোগী আমিরুল ও বাচ্চু বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগীদের রাইস মিল ও কাঠ মিল হইতে রিডিং মিটার রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে যায় দূর্বত্তরা। এবং প্রত্যেকের চুরি হওয়া মিটারের ফাঁকা জায়গায় একটি চিটকুটে লিখে যান। সেখানে লেখা ছিল ‘এই মিটার নিতে হলে মোবাইল নং- ০১৯৪০-৯৭৪৮৯৭ এই নাম্বারে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে।সকালে মিটার চুরি হয়ে যাওয়ার স্থান থেকে প্রাপ্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ওই মিটারের জন্য ৮ হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেয়ার কথা জানায় দুর্বৃত্তরা।
এবিষয়ে কথা বলতে নাটোর পল­ী বিদ্যুৎ সমিতি-২ লালপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিম খানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘মিটার চুরির অভিযোগ আসেনি আমার কাছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.