বাঙালি জাতির জন্য আত্মোৎসর্গ করে গেছেন বঙ্গবন্ধু : প্রধানমন্ত্রী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যেন ঘুরে দাঁড়াতে না পারে সে জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে হত্যা করে হয়। পরাধীন বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ থেকে মুক্ত করার কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালি জাতির জন্য আত্মোৎসর্গ করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। দেশীয়-আন্তর্জাতিক চাপে বঙ্গবন্ধুকে ছেড়ে দিয়ে বাধ্য হয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তান সরকার। বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশকে পুর্নগঠন করেছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়’।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্ষমতায় বসে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট থেকে তৈরি হওয়া দল বিএনপি। ভোট চুরির অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী কিছু প্রেতাত্মা এখনো রাজনৈতিক অঙ্গনে আছে। তাই আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করলেই, পেছনে লেগে থাকা এক শ্রেণির মানুষের অভ্যাস।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি ঢাকার আকাশে একটি বিমান চক্রর দিচ্ছে। প্রায় ৪৫ মিনিট বিমানটি আকাশে চক্রর দিচ্ছে, লক্ষ জনতা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়েছে। বিমান যখন অবতরণ করবে, নেতাকর্মীরা যখন উৎফুল্ল হয়ে বঙ্গবন্ধুর কত কাছে যেতে পারে পাগলের মতো প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন, তার একটা পর্যায়ে জানা গেল জাতির পিতা নিজেই নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, ‘যে দেশের স্বপ্ন দেখে আমি সারাটা জীবন পার করেছি, লড়াই করেছি, মানুষকে নিয়ে আন্দোলন করেছি, কারাগারে গেছি, পরিবার-পরিজনের সুখ সাচ্ছন্দ্যের দিকে তাকাইনি, সেই বাংলাদেশটি স্বাধীনতার পরে কেমন আছে আমাকে উপর থেকে দেখতে দাও।’ বিমানের পাইলট জাতির পিতার মনের অনুভূতি বুঝতে পেরে উপর থেকে দেখিয়েছিলেন। এরপর মহা বিজয়ের মহানায়ক জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
সভায় খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, দেশে ফিরে মাত্র প্রায় ৩ বছর ৭ মাস সময় পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে সাজাতে যুগান্তকারী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। অতি অল্পমতো সময়ে তিনি আমাদের একটি সংবিধান দিলেন। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে দেশকে কোথায় নিয়ে যেতেন, তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। তাঁরই সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়ার স্বপ্ন একটি একটি করে বাস্তবায়ন করছেন। আমরা আশা করছি ২০৪১ সালের ২/১ বছর আগে বাংলাদেশ বিশে^র উন্নত দেশের কাতারে পৌছে যাবে। আমরা দোয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন আমাদের নেতৃত দেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা যে স্বপ্ন দেখে জীবন দিয়ে গেছেন, তাঁর মাধ্যমেই যাতে বাস্তবায়ন হয়। আমি জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
সংবাদ প্রেরক মোস্তাফিজ মিশু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.