বাগমারায় ইউপি নির্বাচনে ৩টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এগিয়ে


বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় আগামী ৫ জানুয়ারি উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের ৫ দফায় নির্বাচনের আর মাত্র ৪ দিন বাকি। নির্বাচনের শেষ সময়ে প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন।
শনিবার উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানদের বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সাথে মত বিনিময় ও ভোট প্রার্থনার দৃশ্য দেখা গেছে। এতে ভোটারদের তথ্য-আলোচনায় এক সমীক্ষায় ঝিকার, যোগীপাড়া ও হামিরকুৎসা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন।
উপজেলার ১২ নং ঝিকরা ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৯ হাজার ৪৪৩ জন, পুরুষ ভোটার রয়েছে ৯ হাজার ৮৭১ জন এবং মহিলা ভোটার ৯ হাজার ৫৭২ জন। এখানে ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যানে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। আ’লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ ফৌজদার। এখানে আ’লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন রফিকুল ইসলাম (আনারস) ও মাষ্টার শাহাদত হোসেন (ঘোড়া)।
এছাড়া রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) ও স্বতন্ত্র (জামায়াত) ইব্রাহীম হোসেন (চশমা)। এখানে আ’লীগের কাটা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আ’লীগের বিদ্রোহী রফিকুল ইসলাম (আনারস)। রফিকুল ইসলাম একজন সহজ সরল সদালাপী মহৎ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচনে এসেছি। সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন হলে আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো। আমি দীর্ঘদিন সময় ধরে ইউনিয়নবাসীর পাশে আছি আগামীতেও থাকবো। তিনি শত ভাগ নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বাড়িত বাড়িতে গিয়ে ভোটারদের পোষ্টর হাতে দিয়ে ভোট প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তার নিজের জনপ্রিয়তা আর ব্যক্তি ইমেজ ও উন্নয়নের তথ্য উপস্থাপন করছেনা। এছাড়া জামায়াত বিএনপি’র সমর্থনে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রাথী ইব্রাহীম হোসেন (চশমা) জানিয়েছেন।
এখানে মূলত লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন ও রফিকুল ইসলাম। একই ভাবে উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বাদশা। তবে গত নির্বাচনে বিদ্রোহী পরাজিত প্রার্থী এসএম মাজেদুল ইসলাম সোহাগ এবারে নৌকা পেয়ে হারান। গত দুই দুইবার তৃনমুল আ’লীগের মধ্যে দ্ব›েদ্ব তিনি আ’লীগের প্রার্থী হয়ে পরে নৌকা প্রতীক তার হাতছাড়া হয়।
এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল হোসেন এবারে নৌকা চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে চসে ফিরছেন। সেই দিক থেকে নৌকা প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বাদশার কাটা হয়ে দু’ বিদ্রোহী প্রাথীর অবস্থান দৃঢ় হবার কারণে তার জিত অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন।
এছাড়া তার একঘিয়েমী ও গুড়ামীতে তিনি ইমেজ সংকটে রয়েছেন বলে স্থানীয় ভোটাররা জানিয়েছেন। হামিরকুৎসা ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন আ’লীগের দলীয় নৌকার প্রার্থী সানোয়ার খাতুন। এই ইউনিয়নে গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সাফিনুর নাহার বিদ্রাহী প্রার্থী হয়ে (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে এবারে লড়ছেন।
তিনি গতবারে আনোয়ার হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত ছিলেন। আনোয়ার হোসেন গতবারের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয় হলে এ কারণে এবারে তিনি নৌকা পেয়ে হারিয়েছেন। তবে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী বাগমারা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক ফিরোজ চশমা প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। তার অবস্থান অন্যদের চেয়ে বেশ ভালো বলে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। শনিবার তিনি দুই শতাধিক নেতা কর্মীদের নিয়ে বিকালে মোটরসাইকেল শোডাউন ও পথ সভা করেছেন।
১৪ নং হামিরকুৎসা ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৭ হাজার ৯১৩ জন, এতে পুরুষ ভোটার রয়েছে ৯ হাজার ০২০ জন এবং মহিলা ভোটার ৮ হাজার ৮৯৩ জন। ১৫ নং যোগীপাড়া ইউনিয়নে মোট ভোটার ২২ হাজার ৫২২ জন, এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৩৫০ জন এবং মহিলা ভোটার ১১ হাজার ১৭২ জন। রাশেদুল হক সৎ, যোগ্য, নির্ভিক আর জনকল্যাণে কাজ করে এমন প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন বলে ভোটাররা জানিয়েছেন। রশেদুল ভোটারদের সেই চাওয়াকে বাস্তবায়ন করতে কাজ করবেন বলে লক্ষ্যে প্রথম বারের মতো ইউনিয়নে নির্বাচন করছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.