বরিশাল-২ আসনে প্রার্থী নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন মেরুকরণ, পাল্টে যেতে পারে জয় পরাজয়ের হিসাব-নিকাশ

উজিরপুর প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বরিশাল-২ আসনে নতুন করে মেরুকরণ শুরু হয়েছে, চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষন। কে হচ্ছে মহাজোটের প্রার্থী আর কে হচ্ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এ নিয়ে সরব রয়েছেন রাজনৈতিক মহল। স্থানীয় বিভিন্ন রাজনীতিবিদ ও সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিজয়ী হওয়া নির্ভর করবে প্রার্থী বাছাইয়ের উপর। উজিরপুর-বানারীপাড়া এ দুই আসন নিয়ে বরিশাল-২ আসন গঠিত।

এ আসনটিতে এক সময়ে উজিরপুর বাবুগঞ্জ নিয়ে গঠিত ছিল তখন ওয়াকার্স পার্টির প্রার্থী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম ফারুক অভি ও বিএনপির মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল নির্বাচিত হন। এক সময়ে উজিরপুর-বানারীপাড়া বিএনপির দূর্গো থাকলেও দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় এ আসনটি আওয়ামীলীগের দূর্গো হিসেবে পরিচিত হয়। তবে মনোনয়ন পত্র দাখিলের পূর্ব থেকেই মহাজোট থেকে প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির এরশাদ গ্রুপের চিত্র নায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার নাম ঘোষনা হলেও শেষ মূহুর্তে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পত্র পান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদার । তার মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান এমপি এ্যাড: তালুকদার মোঃ ইউনুস, উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল সহ দুই উপজেলার সকল নেতাকর্মী।

আওয়ামীলীগ থেকে আরো সতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের প্রপৌত্র ফাইয়াজুল হক রাজু, শিল্পপতি ক্যাম্পেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন, সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা। এদিকে চিত্র নায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা বাবুগঞ্জের অধিবাসী, বসবাস করেন ঢাকায়। উজিরপুরের মাটিতে মনোনয়ন পত্র দাখিলের দিনে প্রথম তার পদার্পন। মনোনয়ন পত্র দালিখের সময় উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বাচ্চু ফকির, সম্পাদক হানিফ হাওলাদার, যুগ্ম সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক জাহিদ হোসেন মীর প্রমুখ।

এ সময় প্রার্থীর ছোট ভাই চিত্র নায়ক রুবেল এলাকায় উপস্থিত হলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বেশ আলোরণ সৃষ্টি হয়। উৎসুক জনতা তাদেরকে এক নজর দেখার জন্য ভীর জমান বটে। মহাজোটের প্রার্থী হলে ভোট যুদ্ধে কতটুকু সফল হবেন তা দেখার বিষয়। তবে কী আওয়ামীলীগ থেকে বিদ্রোহী সতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন মাঠে ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহন করলে শেখানে হিসাব নিকাশ পাল্টে যেতে পারে অন্য দিকে। মহাজোট থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী শাহে আলম তালুকদারকে মনোনয়ন দিলে হিসাব নিকাশ হবে করায় গন্ডায়। তা না হলে হিসাবের পাল্লা ভারি হতে পারে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের দিকে। সমস্যা সেখানেও। বিএনপি থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও এক সময়ে উজিরপুর বর্তমানে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। জমা দিয়েছেন এক সময়ে সংস্কার প্রার্থী হিসেবে পরিচিত সাবেক হুইফ শহিদুল হক জামাল। দুই উপজেলার বিএনপির মূল ¯্রােত এস সরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টুর পক্ষে।

তবে শহিদুল হক জামালের মনোনয়ন পত্র জমাদানে কতিপয় বিএনপির সাবেক নেতাকর্মী বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক হাজী সালেক, মীর শহিদুল ইসলাম, গোলাম মাহামুদ মাহাবুব মাষ্টার, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমান চোকদার, উজিরপুর উপজেলা যুবদল একাংশের সভাপতি আহমেদুল কবির বিল্পব মোল্লা, সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ সহ অনেকেই দেখা গেছে। বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপি নেতা শাহ আলম মিয়া সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

তবে শেষ পর্যন্ত মনোয়নপত্র দাখিল করেননি কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। ওয়াকার্স পার্টি থেকে জহিরুল ইসলাম টুটুল, ইসলামী আন্দোলনের মাওঃ নেছার উদ্দিন, এনপিপি থেকে সাহেবআলি রনি, সতন্ত্র আনিচুজ্জামান মনোয়নপত্র দাখিল করেছেন। সতন্ত্র প্রার্থী রুবিনা আক্তার মীরা বলেন এই আসনে ৪৯ পারসেন্ট নারী ভোটার আমি একমাত্র নারী প্রার্থী। নির্বাচনে আমি অবশ্যই বিজয়ী হব। বরিশাল-২ আসনে প্রার্থীর উপর নির্ভর করে পাল্টে যেতে পারে জয় পরাজয়ের হিসাব নিকাশ। কে হবেন মহাজোট আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, এটাই দেখার অপেক্ষা করছেন ভোটাররা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর উজিরপুর প্রতিনিধি আঃ রহিম সরদার।#

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.