বন্যার আরো অবনতি, বন্ধ করে দেওয়া হলো দিল্লির সবচেয়ে বড় শ্মশান

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি এবং তীর উপচে যমুনার পানি দিল্লির অলিগলিতে প্রবেশ করেছে। এতে দুর্ভোগ ক্রমেই বাড়ছে দিল্লিবাসীর। এদিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারতের রাজধানীর সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগমবোধ ঘাট। যমুনার তীরে রিং রোডে এই শ্মশান। যে কারণে প্রিয়জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে বিপাকে পড়ছেন দিল্লিবাসী।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয় জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতির কারণে নিগমবোধ ঘাট, গীতা কলোনি, ওয়াজিরাবাদ, সরাই কালে খানে শ্মশান বন্ধ করা হয়েছে। শেষকৃত্যের জন্য অন্য শ্মশানগুলোতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যেসব শ্মশানে শেষকৃত্য করা যাবে সে তালিকাও দিয়েছেন তিনি।
১৯৭৮ সালের বর্ষায় দিল্লিতে যমুনার পানির স্তর ছিল ২০৭.৪৯ মিটার। গত বুধবার সেই রেকর্ড ভেঙে গেছে। বুধবার দুপুর ১টায় দিল্লি রেলসেতুর কাছে যমুনার পানির স্তর উঠেছিল ২০৭.৫৫ মিটার। যা গত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার সেই স্তর আরও বাড়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় যমুনার পানির স্তর ছুঁয়েছিল ২০৮.৬৬ মিটার। হরিয়ানার হাথনিকুণ্ড বাঁধ থেকে ক্রমাগত পানি ছাড়া হচ্ছে নদীতে। যে কারণে যমুনার পানির স্তর ক্রমশ বাড়ছে। তবে শুক্রবার সকালে যমুনার পানির স্তর সামান্য কমেছে। সকাল ৯টা নাগাদ পানির স্তর ছুঁয়েছে ২০৮.৪০ মিটার। দুপুর ১টায় তা আরেকটু নেমে হয়েছে ২০৮.২৭ মিটার।
বৃহস্পতিবার যমুনার পানি ঢুকে পড়েছিল লালকেল্লা চত্বরে। লালকেল্লার দেয়াল ছুঁয়েছে যমুনার পানি। শুক্রবার যমুনার পানি ঢুকে পড়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছেও। ডুবেছে রাজঘাট। বিভিন্ন রাস্তা পানিতে ডুবে যাওয়ায় যানজটে নাকাল হচ্ছেন বাসিন্দারা। রোববার পর্যন্ত স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লিবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে নেমেছে সেনা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.