বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগে আ. লীগ নেতাসহ আটক তিন!


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের নাটক সাজিয়ে অন্য কে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের অভিযোগে নাটোর সদর উপজেলার ২ নং তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিহাব উদ্দীন মিলন, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নাটোর জেলা শাখার সহ সভাপতি বাশারতুল্লাহ বাশার (৩৫) এবং যুবলীগ কর্মী হিমেল (১৮ )।
আজ শুক্রবার (১৩ আগষ্ট) রাত ১ টার দিকে সদর থানা পুলিশ মাস্তান মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,২ নং তেবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিহাব উদ্দীন মিলন গতকাল বৃহম্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ করে, গতকাল বৃহম্পতিবার সন্ধ্যায় দূর্বত্তরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্য দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। তাকে না পেয়ে অফিসে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর এবং নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ছবি সহ সকল আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর করে দুস্কৃতিকারীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা মিলনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ড্রয়ার ভেঙ্গে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং নিন্দার ঝড় উঠে। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের কথা সবাই জানা জানি হয় ও এলাকায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
নাটোর সদর থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় তাঁর অপর দুই সহযোগীকে মারপিটের অভিযোগ করে। এ সময় ৬ নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর এবং নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের ছবিসহ চেয়ার টেবিল ভাংচুর এবং মেঝেতে পরে থাকতে দেখা যায়।
পরে পুলিশ গিয়ে তদন্ত করে দেখেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙ্গার কোন ঘটনা ঘটে নি। তুচ্ছ একটি মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষদের শায়েস্তা করার জন্য নিজেরাই ছবি ভাংচুর করে অন্যেও ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে। আজ শুক্রবার রাতেই অভিযান চালিয়ে নাটোর থানা পুলিশ ৩ জন আটক করে।
পরে আওয়ামী লীগ নেতা মিলন এবং তাঁর সহযোগিরা পুলিশ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। স্বীকারোক্তি দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি নিজেরাই ভাংচুর চালিয়েছে। মিথ্যা নাটক সাজানোর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মতিন বিটিসি নিউজকে জানান, মিথ্যা অভিযোগ করায় আটক তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.