ফিলিপিন্সের ইতিহাস গড়া জয়

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবল খেলতে এসেই ইতিহাস গড়েছেন ফিলিপিন্সের মেয়েরা। মঙ্গলবার দেশটি বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে। ওয়েলিংটনে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে ফিলিপিন্স। এর ফলে নকআউট পর্বের কাছাকাছি যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছে নিউজিল্যান্ড।
এবারের বিশ্বকাপে ফিলিপিন্সের জার্সিতে আট ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে। বিশ্বমঞ্চে তারা দলের ঐতিহাসিক জয়ে রেখেছেন ভূমিকা। টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক নিউজিল্যান্ড উদ্বোধনী ম্যাচে নরওয়েকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়ে শেষ ষোলোতে খেলার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। এবার নিজেরাই ফিলিপিন্সের কাছে হেরে অঘটনের শিকার হয়েছে।
ম্যাচের ২৪ মিনিটে সেটপিস থেকে সারা এগেসভিকের ক্রসে হেডে ফিলিপিন্সের জয়সূচক গোলটি করেন সারিনা বোল্ডেন। বিরতির পর ৬৪ মিনিটে জ্যাকি হ্যান্ডের শট সাইডপোস্টে লেগে ফিরে আসে। দুই মিনিট পর হেডে লক্ষ্যভেদ করে স্বাগতিকদের আনন্দে ভাসিয়েছিলেন হ্যান্ড। কিন্তু তাকে পাস দেওয়া হান্না উইলকিনসন অফসাইড পজিশনে ছিলেন। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি গোল বাতিল করে দেন। ফলে হতাশ হতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। গোলরক্ষক অলিভিয়া ম্যাকড্যানিয়েলকেও ছিলেন ফিলিপিন্সের জয়ের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে বদলি খেলোয়াড় গ্রেস জেলের ভলি অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন তিনি।
‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার মেয়েরা ২-০ গোলে হারিয়েছে এশিয়ান পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েদের। কলম্বিয়ানরা শুরু থেকেই ম্যাচে আধিপত্য বজায় রেখে খেলতে থাকে। তারা ম্যাচের ৫৮ শতাংশ বল দখলে রাখে। শট নেয়ার দিক থেকে বেশ পিছিয়ে ছিল এশিয়ার দলটি।
কলম্বিয়ার গোলমুখে মাত্র ৫টি শট নিতে পেরেছে তরা। বিপরীতে দক্ষিণ আমেরিকার দলটি শট নিয়েছে ১৭টি, যার মধ্যে অন টার্গেট শট ছিল ৫টি। দক্ষিণ কোরিয়া ৫-৩-২ ফরমেশনে মাঠে নামে। এরপরও আটকাতে পারেনি কলম্বিয়াকে।
এরপরও কলম্বিয়াকে গোলের দেখা পেতে ম্যাচের ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ডি বক্সের মধ্যে কলম্বিয়ার এম ভ্যানেগাসের জোরালো শট কোরিয়ার খেলোয়াড় সিও ইওন শিমের হাতে লাগে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিকে গোল করতে ভুল করেননি ক্যাটালিনা সিমে।
এরপর দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতে বেশি সময় অপেক্ষ করতে হয়নি কলম্বিয়াকে। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট করেন লিন্ডা কাইসেডো। তার শট দক্ষিণ কোরিয়ার গোলকিপারের হাতে লেগেও জালে প্রবেশ করে। হারলেও এই ম্যাচ খেলে ইতিহাস গড়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ক্যাসে ফেয়ারের। সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে নারী বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে তার। ম্যাচটি খেলার দিন তার ফেয়ারের বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর ২৬ দিন।
মরক্কোর বিরুদ্ধেও ফেয়ারকে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইংলিশ কোচ কলিন বেল। যদিও এই বয়সে খুব বেশি মাত্রায় তার মধ্যে যেন প্রত্যাশার চাপ না থাকে সেই বিষয়টিও সতর্কতার সঙ্গে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বেল বলেন, অন্তত আমরা তাকে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। তার মতো খেলোয়াড় আমাদের প্রয়োজন।
বিশ্বকাপের মতো অভিজ্ঞতা আমি তাকে উপহার দিতে চাই। তবে হেরে বেজায় হতাশ কোরিয়ান কোচ। এ প্রসঙ্গে বেল বলেন, এই ফলাফলে আমি খুবই হতাশ। আমার মেয়েরা আরও ভালো খেলতে পারত। এক সময় তারা খুব বেশি ধীরে খেলেছে। অন্যদিকে ‘এ’ গ্রুপে সুইজারল্যান্ড ও নরওয়ের মধ্যকার অপর ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.