কিশোরী কেসির বিশ্বরেকর্ড

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ খেলার নতুন রেকর্ড গড়লেন কেসি ফেইর। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে চলতি বিশ্বকাপে এসে ভাঙল ২৪ বছর আগের পুরনো রেকর্ড।
সিডনিতে মঙ্গলবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচে এশিয়ার দেশটি ২-০ গোলে হেরে গেলেও বয়সের কারণে ইতিহাসে ঢুকে গেছেন কেসি। এতদিন মেয়েদের বিশ্বকাপ খেলা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার ছিলেন নাইজেরিয়ার ইফিয়ানি চিয়েজিনের।
তিনি ১৯৯৯ নারী বিশ্বকাপে অংশ নেন ১৬ বছর ৩৪ দিন বয়সে। তাকে টপকে নতুন  রেকর্ড গড়েলেন কেসি। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন তিনি। এ দিন তার বয়স ছিল ১৬ বছর ২৬ দিন। যা ইফিয়ানির চেয়ে মাত্র ৮ দিন কম। দক্ষিণ কোরিয়ার অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে দুই ম্যাচ খেলে ৫ গোল করে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পান কেসি।
সর্বোপরি ছেলে ও মেয়েদের বিশ্বকাপ মিলিয়ে নাইজিরিয়ার চিয়েজিনে তখন ভেঙে দিয়েছিলেন নরম্যান হোয়াইটসাইডের রেকর্ড। ১৯৮২ বিশ্বকাপে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার বিপক্ষে তিনি যখন খেলতে নামেন,  হোয়াইটসাইডের বয়স ছিল ১৭ বছর ৪০ দিন। এদিন ম্যাচের ৭৭ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ফেইর। সেই সময় তাঁর দল ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। আলোচিত কিশোরি ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি।
তবে ছেলে ও মেয়েদের বিশ্বকাপ মিলিয়ে অসাধারণ এক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন কেসি  ফেইর। ফুটবল বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় যে এখন তিনিই। দলটির ইংলিশ কোচ কলিন বেল এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত, ‘ক্যাম্পে সে ছিল দুর্দান্ত।’
বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ম্যাচে কেসি ফেইর কোনো প্রভাব রাখতে না পারা নিয়ে বেল বলেছেন, ‘২-০গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় নেমে প্রভাব রাখাটা যে কোনো বয়সের খেলোয়াড়ের জন্যই কঠিন।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘বয়স ভিত্তিক দল থেকেই সে ছিল দুর্দান্ত। তার ওপর ম্যানেজমেন্টের বিশেষ দৃষ্টি ছিল। শুধু প্রতিভা নয়, যোগ্যতা বলেই সে মূল দলের হয়ে বিশ্বকাপে খেলছে। আমির ওর উজ্জল ভবিষ্যৎ দেখছি।’
কেসি ফেইর জন্ম ২০০৭ সালের ২৯ জুন। তার মা কোরিয়ান হলেও বাবা আমেরিকান। অনূর্ধ্ব-১৪, ১৫ ও ১৬ হয়ে চলতি বছরের শুরুতেও খেলেছেন দক্ষিণ কোরিয়া অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দলে। সেখানেই ২ ম্যাচে ৫ গোল করে আলো ছড়িয়েছেন সুন্দরী এই স্ট্রাইকার। তিনিই প্রথম দ্বৈত নাগরিক যিনি কোরিয়ার হয়ে খেলছেন।
কথা যখন বয়স এবং বিশ্বকাপ নিয়ে তখন ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের এক রেকর্ড সামনে উঠে আসছে। ই-গ্রুপে কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিযে যাত্রা শুরু করেছিল স্পেন। বিশ্বকাপে যেটি স্প্যানিসদের সবচেয়ে বড় জয়। যার মধ্যে একটি গোল ছিল গাভির। ওই দিন তার বয়স ছিল ১৮ বছর ১১০ দিন।
অর্থাৎ বিশ্বকাপের ইতিহাসে মেক্সিকোর ম্যানুয়েল রোহার ও ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলের পর তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে গোলের রেকর্ড গড়েন গাভি। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১৭ বছর ২৩৯ দিন বয়সে গোল করেন পেলে। বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ড ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলের। এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন মেক্সিকোর সাবেক ফরোয়ার্ড ম্যানুয়াল রোহার। ১৯৩০ বিশ্বকাপে এই রেকর্ড গড়েন ম্যানুয়াল। আর ম্যানুয়াল রোহার পর তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হিসেবে নাম লেখান গাভি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.