‘পুষ্পা’র মতো রক্তচন্দন কাঠ পাচার করতে গিয়ে ধরা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাকালেও ভারতের দক্ষিণী সিনেমা ‘পুষ্পা’ জ্বরে কাঁপছে বক্স অফিসসহ সিনেপ্রেমীর। ছবিটি মুক্তির পর থেকে এর কেন্দ্রীয় চরিত্র আল্লু অজুর্নের সংলাপ, নাচের স্টেপ অনুকরণে বিভোর চলচ্চিত্র তারকা, ক্রিকেটার, নেটিজেনদের অনেকে।
তবে এবার বলতে গেলে পুষ্পার আসল অনুসরণটি করে বসলেন বেঙ্গালুরুর এক চন্দন কাঠ পাচারকারী।
গতকাল বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) ঠিক পুষ্পার আল্লু অর্জুনের আদলে একেবারে ফিলমি কায়দায় রক্তচন্দন কাঠ পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লেন পাচারকারী চক্রের এক সদস্য। তার নাম – ইয়াসিন ইনাইতুল্লা।
‘পুষ্পা’ সিনেমায় আল্লু অর্জুন অভিনীত চরিত্রটি প্রথমে ট্রাকে চন্দন কাঠ বোঝাই করত। তারপর তার উপর দুধের ক্যান চাপিয়ে তা আড়াল করে দিত। এরপর চেকপোস্টে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে এসব কাঠ পাচার করত সে।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সিনেমার এই দৃশ্যইয়াসিনকে অনুপ্রাণিত করে। ইয়াসিন প্রথমে লাল চন্দন কাঠ ট্রাকে তুলেছিলেন। তার উপরে ফল ও সবজির বাক্স বোঝাই করেছিলেন। তার উপর ট্রাকটির গায়ে তিনি ‘কোভিড-১৯’এর প্রয়োজনীয় পণ্য’ লেখা একটি স্টিকারও লেপে দিয়েছিলেন। এভাবে ট্রাক নিয়ে কর্ণাটক-অন্ধ্র সীমান্ত পেরিয়ে মহারাষ্ট্রে যাচ্ছিলেন ইয়াসিন ইনাইতুল্লা। কিন্তু সিনেমার পুষ্পার মতো সফল হতে পারেননি ইয়াসিন। কর্ণাটকে ধোকা দিতে পারলেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে পারেননি তিনি।  মহারাষ্ট্র সীমান্ত অতিক্রম করে সাংলি জেলার মেরাজ নগরের গান্ধী চকে ধরা পড়েন ইয়াসিন।
সাংলির পুলিশ সুপার দীক্ষিত গেদাম জানিয়েছেন, ‘গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে, বন দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে একটি যৌথ অভিযান চালাই আমরা। অভিযানের সময় আমরা একটি ট্রাক বাজেয়াপ্ত করি।
অভিযুক্ত ইয়াসিনকে গ্রেফতার করি। আটকের সময় ট্রাক থেকে প্রায় ১ টন চন্দন কাঠ পাওয়া গেছে, যার মূল্য প্রায় ২.৪৫ কোটি রুপি। ট্রাকটির দাম ১০ লাখ রুপি টাকা। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং বন আইনের বিভিন্ন ধারায় তার ইয়াসিনের বিরুদ্দে মামলা করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে, তা খুঁজে বের করতে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.