বিটিসিস্পোর্টসডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এক সময়ের সেরা অধিনায়ক, ১৬ কোটি বাঙলির আস্থার প্রতীক ও ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্মদিন ৫ অক্টোবর। ব্যাট আর বল হাতে টিম টাইগারদের নেতৃত্বদেয়া এ ক্যাপটেন ৩৭ পেরিয়ে ৩৮-এ পা দিলেন।
১৯৮৩ সালের আজকের এই দিনে নড়াইলের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। তবে শুধু মাশরাফিরই নয়, মজার বিষয় হলো ছেলে সাহেলের জন্মও একই দিনে। মাশরাফি নিজেই বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, তিনি একজন ভাগ্যবান বাবা। ২০১৪ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্ম হয় তার ছেলে সাহেলের।
ছোটবেলা থেকেই মাশরাফি ছিলেন দুরন্ত। সারাক্ষণ মেতে থাকতেন বন্ধুদের নিয়ে। স্কুল ফাঁকি দিয়ে চলে যেতেন ক্রিকেট খেলতে। বাকি সময়টা চলতো ব্যাডমিন্টন আর চিত্রা নদীতে সাঁতার কেটে। এভাবেই একদিন সুযোগ পেয়ে গেলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। সেখান থেকেই তিনি চোখে পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং কোচ অ্যান্ডি রবার্টসের। তার হাতে পড়েই ক্যারিয়ার বদলে যায় মাশরাফির। যে কারণে, তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ না খেলেই টেস্টে অভিষিক্ত হন।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর শুরু হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। একই বছর ২৩ নভেম্বর ওয়ানডে ক্রিকেটে মাশরাফির অভিষেক হয় ফাহিম মুনতাসির ও তুষার ইমরানের সঙ্গে। অভিষেক ম্যাচে মোহাম্মদ শরীফের সঙ্গে বোলিং ওপেন করে তিনি ৮.২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। এরপর তার ক্যারিয়ারে যা ঘটেছে তা শুধুই ইতিহাস।
২০০৯ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন। এরপর এলিট ফরম্যাটে আর ফেরা হয়নি। সাতবার গুরুত্বর অস্ত্রোপচার হয়েছে হাঁটুতে। কিন্তু, অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর আত্মবিশ্বাসের কারণেই মাশরাফী ফিরেছেন বার বার। অনেকটা ফিট থাকলেও, ২০১১ বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়েন।
ক্যারিয়ারে ৮৮ ম্যাচে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়ে ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশকে বিজয়ের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছিলেন সবার প্রিয় ম্যাশ। বর্তমানে ক্রিকেট মাঠ থেকে দূরে থাকলেও রয়েছে রাজনীতির মাঠে। নড়াইল -০২ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে সবার আস্থা ভাজন হয়ে উঠেছেন তিনি। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.