বাগেরহাটপ্রতিনিধি: নাব্যতা সংকটে চারদিনেও মোংলা বন্দরে ভীড়তে পারেনি বিদেশী জাহাজ পানামা পতাকাবাহী এমভিসিএস ফিউচার ও টুভালু পতাকাবহী এমভি পাইনিয়র ড্রিম। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এমভিসিএস ফিউচার জাহাজ এবং ১ অক্টোবর টুভ্যালু পতাকাবাহী এমভি পাইনিয়র ড্রিম মোংলা বন্দরের আউটারবারেই আটকে আছে। নাব্যতা সংকট নিরসন করে জাহাজ দুটিকে বন্দরে নোঙ্গরে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সোমবার (০৪ অক্টোবর) বিকেলে জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট পার্ক শিপিংয়ের স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির পাটোয়ারি বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার নিয়ে পানামা পতাকাবাহী এমভিসিএস ফিউচার জাহাজ এবং ১ অক্টোবর ১১ হাজার মেট্রিক টন সিরামিক পণ্য নিয়ে আসে টুভ্যালু পতাকাবাহী এমভি পাইনিয়র ড্রিম মোংলা বন্দরের আউটারবারে এসে পৌছায়। কিন্তু নাব্যতা সংকট থাকায় বন্দরের জেটিতে প্রবেশ করতে পারেনি জাহাজ দুটি। আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি, তারা জাহাজ দুটিকে বন্দরে নোঙ্গর করানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বিটিসি নিউজকে বলেন, যে দুটি জাহাজ আটকে রয়েছে তার একটির ড্রাফট ৯.২৪ এবং একটির ড্রাফট ৯.০২। যার ফলে জাহাজ দুটি আসতে পারছে না। আশা করছি আগামীকাল বা পরশু দিন স্বাভাবিক জোয়ারে চ্যানেলের পানি বৃদ্ধি পাবে তখন সহজেই জাহাজ দুটি প্রবেশ করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, ক্যাপিটাল ড্রেজিং করার পরে বৃষ্টি মৌসুমে চ্যানেলে পলি জমে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। এখানেও সেই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ড্রেজিং করেছে তারা নিজ উদ্যেগে বিনামূল্যে এই পলি জমা অংশ ড্রেজিং করে দিবে। এজন্য তাদের দুইটি ড্রেজার ইতোমধ্যে চ্যানেলে প্রবেশ করেছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.